প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

টুইটারের সিইও থাকছেন না ইলন মাস্ক!

শেয়ার বিজ ডেস্ক: টুইটারের সিইও পদে আর থাকছেন না ইলন মাস্ক। সেই পদে বসানোর জন্য এক যোগ্য মানুষকে খুঁজে পেয়েছেন তিনি। শুক্রবার গভীর রাতে টুইট করে এমনটাই জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ধনকুবের তথা টুইটারের মালিক ইলন মাস্ক! আর মাস্কের এই ঘোষণার পরই হইচই পড়ে গেছে বিভিন্ন মহলে। টুইটারের পরবর্তী সিইও কে হতে চলেছেন, তা ইলনের টুইট থেকে স্পষ্ট না হওয়ায় জল্পনা শুরু হয়েছে। টুইটারের পরবর্তী সিইও’র নাম ঘোষণা না করলেও ইলন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যেই নতুন সিইও পেয়ে যাবে মাইক্রোব্লগিং সংস্থা। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এক টুইটে নিজের প্রধান নির্বাহী পদ ছাড়ার বিষয়টি উল্লেখ করে ইলন মাস্ক বলেছেন, ‘এখন থেকে আমার ভূমিকা হবে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান এবং সিটিও তথা প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তার। পাশাপাশি বিভিন্ন পণ্য, সফটওয়্যার ও সিস্টেম অপারেশন দেখভালও করব আমি।’

এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে টুইটারের মালিক ইলন মাস্ক এক টুইটে বলেছিলেন, ‘যত দ্রুত আমি সিইও’র (টুইটারের) দায়িত্ব নেয়ার মতো বোকা কাউকে খুঁজে পাব, তত দ্রুত আমি এই পদ থেকে চলে যাব।’ অবশেষে মাস্ক তার কাক্সিক্ষত নেতাকে খুঁজে পেয়েছেন।

ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান এনবিসি ইউনিভার্সালের প্রধান নির্বাহী লিন্ডা জাকারিনোই টুইটারের পরবর্তী সিইও হতে যাচ্ছেন। তবে এ বিষয়ে ব্লুমবার্গের তরফ থেকে লিন্ডার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।

লিন্ডা জাকারিনো টার্নার ব্রডকাস্টিং করপোরেশনে প্রায় দুই দশক কাজ করার পর ২০১১ সালে এনবিসি ইউনিভার্সালে যোগ দেন। এনবিসি ইউনিভার্সালে তিনি প্রতিষ্ঠানটির বিজ্ঞাপন সমর্থন করে, এমন সরাসরি স্ট্রিমিং পরিষেবা ‘পিকক’ চালু করতে এবং সুপার বৌল এবং অলিম্পিক গেমসের মতো সরাসরি অনুষ্ঠানগুলোর সম্প্রচার তদারকি করতেন। পাশাপাশি তিনি স্ন্যাপচ্যাট, ইউটিউব, টুইটারসহ বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানেও কাজ করেছেন।

প্রসঙ্গত, মাস্ক অনেক দিন ধরেই বলে আসছেন, টুইটারের সিইও পদ ছাড়তে চান তিনি। আপাতত তিনি শুধু টেসলার দিকে মন দিতে চান বলেও নাকি ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছিলেন। গত বছরের অক্টোবরে টুইটার কিনে নেন ইলন। টুইটারের মালিকানা হাতে আসার প্রথম দুই সপ্তাহের মধ্যেই তিনি সংস্থার কার্যপ্রণালিতে একাধিক রদবদল করেন। সরিয়ে দেয়া হয় তৎকালীন সিইও পরাগ আগরওয়াল-সহ অন্য শীর্ষ কর্তাদের। ছাঁটাই করা হয়েছিল বহু কর্মীকেও।