প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

পাঁচ হাজার পয়েন্টের কাছাকাছি ডিএসইর সূচক

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক পাঁচ হাজার পয়েন্ট ছুঁই ছুঁই করছে। গতকাল ডিএসই প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৩৬ পয়েন্ট বেড়ে গত দুবছরের সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছে। এদিন ডিএসইতে লেনদেনও ছিল সন্তোষজনক। দিন শেষে লেনদেন  হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।

গতকালের বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডিএসইতে এক হাজার ৮১ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে; যা আগের দিনের তুলনায় ১৮১ কোটি ৭৪ লাখ টাকা বেশি। আগের দিন এ বাজারে ৯০০ কোটি ছয় লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। গতকাল এদিন ডিএসইতে মোট লেনদেনে অংশ নেয় ৩২৫টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২০৪টির, কমেছে ৯৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টির শেয়ার দর।

এদিকে ডিএসইএক্স বা প্রধান মূল্যসূচক ৩৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে চার হাজার ৯৯৩ পয়েন্টে। ডিএসইএস বা শরিয়াহ সূচক পাঁচ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ১৮১ পয়েন্টে। আর ডিএস৩০ সূচক এক পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে এক হাজার ৭৯৮ পয়েন্টে।

একইভাবে গতকাল দর হারানোর শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলো হলো: রহিমা ফুড, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, ম্যারিকো, ভ্যানগার্ড মিউচুয়াল ফান্ড, এইচআর টেক্সটাইল, ডেফোডিল কম্পিউটার, ফাইন ফুডস, এমারেল্ড ওয়েল, শাশা ডেনিমস ও বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেম। অন্যদিকে গতকালের খাতভিত্তিক লেনদেনে চোখ রাখলে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি এগিয়ে ছিল প্রকৌশল খাত। মোট লেনদেনে এ খাতের অবদান ছিল ২০ দশমিক ৪৩ শতাংশ। পরের অবস্থানে ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাত। লেনদেনের প্রায় ১৫ শতাংশজুড়ে এই খাতের অবদান। গতকালের ঊর্ধ্বমুখী বাজারের এই দুই খাতের পরের অবস্থানে ছিল বস্ত্র খাত। লেনদেনে এ খাতের অংশগ্রহণ ছিল ১২ দশমিক ৪৫ শতাংশ। এর পরের অবস্থানে থাকা ব্যাংকিং খাতের অবদান ছিল আট দশমিক ২৬ শতাংশ।

অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। সিএসইতে ৬৮ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। সিএসই সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৩৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৩৮৬ পয়েন্টে। সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৫৪টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৮০টির, কমেছে ৬৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১১টির।

আর দর বৃদ্ধির শীর্ষ কোম্পানিগুলো হলো: গোল্ডেনসন, হা-ওয়েল টেক্সটাইল, অলিম্পিক এক্সেসরিজ, ডেল্টা স্পিনার্স, পেনিনসুলা চট্টগ্রাম, মোজাফফর হোসেন স্পিনিং, সেন্ট্রাল ফার্মা, প্রথম প্রাইম মিউচুয়াল ফান্ড, ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট ও রিলায়েন্স প্রথম মিউচুয়াল ফান্ড।

সিএসইর লেনদেনের শীর্ষ কোম্পানিগুলো হলো: ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংক, বেক্সিমকো, কেয়া কসমেটিকস, অলিম্পিক এক্সেসরিজ, এ্যাপোলো ইস্পাত, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, সায়হাম কটন, জাহিন টেক্সটাইল, বিবিএস ও সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইল। অন্যদিকে গতকাল এখানে দর হারানোর শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলো হচ্ছে: রহিমা ফুড, ফাইন ফুড, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, ম্যারিকো, শাশা ডেনিমস, কেডিএস, এমারেল্ড ওয়েল ও বিবিএস।

গতকাল ডিএসইর লেনদেনের শীর্ষ কোম্পানিগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস (বিবিএস) লিমিটেডের ৪১ কোটি ৮৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকা শেয়ার লেনদেন করে লেনদেনের শীর্ষে অবস্থান করেছে।  কোম্পানিটির ৭৭ লাখ ৬৯ হাজার ৩২৪টি শেয়ার মোট চার হাজার ৫৫১ বার হাতবদল হয়। শেয়ারদর আগের কার্যদিবসের চেয়ে চার দশমিক ১৬ শতাংশ বা দুই টাকা ৩০ পয়সা কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৫৩ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৫২ টাকা ৯০ পয়সা। শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৫২ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫৫ টাকা ৮০ পয়সায় ওঠানামা করে। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ৩০ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ৫৮ টাকা ৭০ পয়সায় ওঠানামা করে।

অলিম্পিক এক্সেসরিস লিমিটেডের ৩৩ কোটি ৭৮ লাখ ৮৩ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন করে সর্বোচ্চ লেনদেনের দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করেছে। গতকাল কোম্পানিটির এক কোটি ২৯ লাখ ৭১ হাজার ৩৭২টি শেয়ার মোট চার হাজার ৬৩২ বার হাতবদল হয়। শেয়ারদর আগের কার্যদিবসের চেয়ে ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বা দুই টাকা ৪০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ২৬ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ২৬ টাকা ৬০ পয়সা। শেয়ারদর সর্বনিম্ন ২৪ টাকা ৩০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২৬ টাকা ৬০ পয়সায় ওঠানামা করে। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ১৮ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ৩৮ টাকা ৫০ পয়সায় ওঠানামা করে। দর বৃদ্ধির অন্য কোম্পানি গুলো হলো- এ্যাপোলো ইস্পাত, বেক্সিমকো, কেয়া কসমেটিকস, পেনিনসুলা চট্টগ্রাম, সিএমসি কামাল, ইউনিক হোটেল ও আরএসআরএম স্টিল।