মেহেদী কবীর: ১৯৯৫ সালের ১ জানুয়ারি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্রমণপিপাসু কয়েকজন শিক্ষার্থীর হাতে গড়া ট্যুরিস্ট ক্লাব সাস্ট। ক্লাবের স্বপ্নদ্রষ্টা ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা শাহ। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে এ বছরের প্রথম দিনে ২২ বছরে পদার্পণ করেছে ক্লাবটি। সূচনালগ্ন থেকে আভিজাত্যের সঙ্গে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে ক্লাবটি।
শিক্ষা, শান্তি, ঐক্য, প্রগতি, ভ্রমণ এ মূলনীতিকে সামনে রেখে যাত্রা শুরু করা ট্যুরিস্ট ক্লাব সাস্টের লক্ষ্য এখন শুধু ভ্রমণে সীমাবদ্ধ নয়। ক্লাবটির সাধারণ সম্পাদক শাকিল আহমেদ আলাপচারিতায় বলেন, ভ্রমণের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়কে দেশে ও বিদেশের আঙিনায় তলে ধরা ক্লাবের অন্যতম উদ্দেশ্য।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে নিয়মিত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ট্যুরের আয়োজন করছে তারা। এখন পর্যন্ত অসংখ্য জাতীয় ট্যুরের পাশাপাশি আটবার আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ট্যুরের আয়োজন করেছে সংগঠনটি। সার্কভুক্ত দেশগুলোর সীমানা ছাড়িয়ে এবার তাদের পরিকল্পনা আরেকটু দূরে।
এছাড়া শুধু ভ্রমণই নয়, সংগঠনটি দেশের পর্যটনশিল্পকে কীভাবে বিকশিত করা যায় বিশেষ করে সিলেটকে কীভাবে দেশ-বিদেশের পর্যটকদের সামনে তুলে ধরা যায়, তা নিয়েও কাজ করে যাচ্ছে। সে লক্ষ্যে সিলেটের বিভিন্ন অঞ্চলের নানা দর্শনীয় স্পটের পরিচিতিমূলক তথ্য নিয়ে প্রকাশ করেছে ‘পথের খোঁজে’ ম্যাগাজিন। জানালেন সভাপতি আল আমিন মোস্তফা। এছাড়া পর্যটন স্পটগুলো প্রতিবন্ধীবান্ধব করার জন্য বেশ কয়েক বছর ধরে জোর দাবি জানিয়ে আসছে তারা।
‘মুভ অ্যাস ফার ইউ উইল, লার্ন অ্যাস মাচ ইউ ক্যান এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ট্যুরের পাশাপাশি সমাজ সচেতনতামূলক কাজও করে থাকে ক্লাবটি। চারটি উইংয়ে কাজ করে থাকে ট্যুরিস্ট ক্লাব সাস্ট। সাংগঠনিক উইং সংগঠনের কাঠামো ঠিক রাখতে কাজ করে। বিভিন্ন ধরনের ভ্রমণ আয়োজনের দায়িত্ব উইং সদস্যদের ওপর। রিসার্চ উইং বাংলাদেশের জানা-অজানা তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ, গবেষণা নিয়ে কাজ করে। অ্যাডভেঞ্চার উইং দুর্গম পথ পাড়ি দেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন ট্যুর পরিচালনা করে থাকে। সবশেষ চ্যারিটি উইং দরিদ্র মেধাবী পাঁচজন শিক্ষার্থীকে প্রতিবছর বৃত্তি দেয়। ২০০৩ সালের ১০ জুলাই থেকে ট্যুরিস্ট ক্লাব সাস্ট স্কলারশিপ চালু হয়।
ক্লাবের অন্যান্য কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে শর্ট ট্রিপ, পিকনিক, অ্যাডভেঞ্চার, চড়–ইভাতি, বারবিকিউ, বিশ্ব পর্যটন দিবস উদ্যাপন, পর্যটনবিষয়ক প্রকাশনা, জাতীয় দিবস পালন প্রভৃতি। সবার ভালোবাসায় আরও দীর্ঘ সময় পাড়ি দেবে এমন মনে করেন ক্লাবসংশ্লিষ্টরা।