নিজস্ব প্রতিবেদক: হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক যাত্রীর ট্রলিব্যাগের ভেতর থেকে দুই লাখ ৬২ হাজার সৌদি রিয়েল আটক করা হয়েছে। ঢাকা থেকে ইস্তানম্বুলগামী এক যাত্রী থেকে এসব বৈদেশিক মুদ্রা আটক করেছে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। বুধবার (৫ আগস্ট) দিবাগত রাত পৌনে চারটার দিকে মুদ্রাসহ ওই যাত্রীকে আটক করা হয়। কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক তানভীর আহম্মেদ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তানভীর আহম্মেদ বলেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইস্তানবুলগামী টার্কিশ এয়ারলাইন্স এর টিকে ৭১৩ ফ্লাইটের মাধ্যমে মুদ্রা পাচারের গোপন সংবাদ পায় কাস্টমস গোয়েন্দার মহাপরিচালক। এরই প্রেক্ষিতে মহাপরিচালকের নির্দেশে মুদ্রা পাচার রোধে সহকারী পরিচালক মো. ইফতেখার আলম ভুঁইয়ার এর নেতৃত্বে কাস্টমস গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বিমানবন্দরের বিভিন্ন জায়গায় সর্তক অবস্থান নেয় এবং নজরদারি শুরু করে।
তিনি জানান, বুধবার দিবাগত রাত ৩টা ৪০ মিনিটে টার্কিশ এয়ারলাইন্স এর যাত্রী মামুন বেপারীর উপর নজরদারি করা হয়। তিনি ওই ফ্লাইটে ইস্তানবুল যাওয়ার উদ্দেশ্যে বিমানবন্দরের দ্বিতীয় তলার চেক-ইন রো ডি ব্যাগেজ চেক ইন শেষে বোর্ডিং পাস নিতে যায়। এরই মধ্যে তথ্যের ভিত্তিতে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা যাত্রী মামুন বেপারীর সঙ্গে থাকা একটি ট্রলিব্যাগ স্ক্যানিং করেন, যাতে মুদ্রা সদৃশ বস্তু দেখতে পান।

পরে ট্রলিব্যাগ কাস্টমস হলের ব্যাগেজ কাউন্টারে এনে তল্লাশি করা হয়, যাতে ব্যাগের ভেতরে বিশেষভাবে লুকায়িত অবস্থায় ৫২৪টি ৫০০ মুদ্রা মানের মোট দুই লাখ ৬২ হাজার সৌদি রিয়াল মুদ্রা পাওয়া যায়। যা বাংলাদেশি টাকায় ৫৩ লাখ ৭১ হাজার টাকা। এবং ৬৩ হাজার ৪৮৬ ডলার। যাত্রী জিজ্ঞাসাবাদে এসব বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহের বৈধ কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি বলে জানান তানভীর আহম্মেদ।
উল্লেখ্য, বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৪৭ এর ধারা ৮ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের আদেশ অনুযায়ী, বৈদেশিক মুদ্রা বাংলাদেশের বাহিরে নেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ব্যতীত প্রতি ট্রিপে ৫ হাজার মার্কিন ডলারের অধিক মুল্যমানের বৈদেশিক মুদ্রা নেয়া যাবে না। নেয়া হলে তা চোরাচালান হিসেবে বিবেচিত হবে এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ (সংশোধিত ২০১৫) এর ধারা-৪ অনুসারে দণ্ডযোগ্য।
তানভীর আহম্মেদ জানান, মুদ্রাপাচারের চেষ্টা করায় ওই যাত্রীকে আটক করা হয়েছে। আটক করা মুদ্রাগুলো ঢাকা কাস্টম হাউসের মূল্যবান গুদামে জমা দেয়া হয়েছে। আটক ও চোরাচালানের ঘটনায় কাস্টমস আইন অনুযায়ী বিভাগীয় মামলা ও ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিকে বিমানবন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
###