প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

ট্রিপল মার্ডার মামলায় ১৪ জনের যাবজ্জীবন

প্রতিনিধি, খুলনা: বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জের দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনসার আলী দিহিদার ও তার স্ত্রীসহ তিনজনকে হত্যা মামলায় ১৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল রোববার দুপুরে খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নজরুল ইসলাম হাওলাদার এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আদালতে মামলার ৫০ জন আসামি উপ?স্থিত ছিলেন।

আনসার আলী দিহিদার ও তার স্ত্রীসহ ট্রিপল মার্ডার মামলায় ১৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তা?দের ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদা?য়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হ?য়ে?ছে। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার ৪২ জন আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত। আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রোমানা তানহা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেনÑশহিদুল ইসলাম ফকির, আবু আল ফকির, হুমায়ুন হাওলাদার, মিল্টন খান, মফিজ খান, ফারুক হাওলাদার, আবুল হোসেন শেখ, মোদাচ্ছের শেখ, সুনীল দাস, বিশ্বনাথ ওরফে বিশ্ব প্রামাণিক, লিয়ন শিকদার, সুব্রত কুমার সাহা ওরফে পল্টু, মেহেদী হাসান ওরফে রুবেল ফকির এবং মহি মোল্লা।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনছার আলী দিহিদারের সঙ্গে দৈবজ্ঞহাটি ইউপিরি সাবেক চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম ফকিরের বিরোধ ছিল। বিরোধের জের ধরে ২০১৮ সালের ১ অক্টোবর যুবলীগ নেতা শুকুর শেখকে সেলিমাবাদ ডিগ্রি কলেজ মাঠে গুলি করে হত্যা করা হয়। এরপর আনছার আলী দিহিদারের বাড়িতে হামলা চালিয়ে তাকেও ধরে নিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। এছাড়া আসামিরা আনছার আলী দিহিদারের স্ত্রী মঞ্জু বেগমকে একই দিন মারধর করে গুরুতর আহত করে। দীর্ঘদিন রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০২০ সালের ৩০ জুলাই তিনি মারা যান।

শুকুরকে হত্যার ঘটনায় ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর শুকুর শেখের ভাই শেখ ফারুক আহম্মদ বাদী হয়ে মোড়েলগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে আরেকটি মামলা করে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ২০১৯ সালের ৪ জুন আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

এ ব্যাপারে আসামিপক্ষের আইনজীবী তৌহিদুর রহমান তুষার বলেন, তারা ন্যায়বিচার পাননি, উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।