প্রতিনিধি, ঠাকুরগাঁও : ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে সোনাকুড়ি বিলের জলাবদ্ধতা নিরসন কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ দুপুরে বৈরচুনা গ্রামের মোহনপুর মাঠে বৃহত্তর দিনাজপুর ও জয়পুরহাট জেলার সেচ সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় উক্ত বিলের জলাবদ্ধতা নিরসন কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পীরগঞ্জে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহরিয়ার নজির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ভূ-উপরিস্থ পানি উন্নয়নের মাধ্যমে বৃহত্তর দিনাজপুর ও জয়পুরহাট জেলায় সেচ সম্প্রসারণ প্রকল্ল-এর প্রকল্প পরিচালক, রেজা মোঃ নুরে আলম, বিশেষ অতিথি বিএমডিএ ঠাকুরগাঁও এর নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম, সহকারী প্রকৌশলী মোঃ খায়রুল আলম, সম্মানি অতিথি পীরগঞ্জ উপজেলা চেয়্যারম্যান আকতারুল ইসলাম,স্থানীয় ইউপি চেয়্যারম্যান টেলিনা সরকার হিমু প্রমুখ। অনুষ্ঠান শেষে আগত অতিথিরা রি-এক্সকেভিশন মেশিন দিয়ে মাটি কেটে সোনাকুড়ি বিলের জলাবদ্ধতা নিরসন কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠান ঘোষণা করেন।
জানা যায় যে, জলাবদ্ধতার কারণে এই বিলের প্রায় এক হাজার একর জমির ফসল ফলানো অনিশ্চিত ছিল। জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় মাটির নিচ দিয়ে পাইপ দিয়ে ভূ-গর্ভস্থ পাইপ লাইনের মাধ্যমে এখন পানি নিষ্কাসনের মাধমে ফসল ফলানো সম্ভব হবে।
স্থানীয় কৃষক মোঃ আব্দুর রহিম, মোঃ রফিকুল ইসলাম, আব্দুস সামাদ সহ অনেক কৃষক জানান, আমাদের সোনাকুড়ি বিলের জলাবদ্ধতার কারনে দীর্ঘদিন ধরে আমরা আমন ও বোরো মৌসুমে আমাদের এক হাজার একর জমিতে ফসল ফলানো সম্ভব হয়নি। এতে আমরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। এখন জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় ভূ-গর্ভস্থ পাইপ লাইনের মাধ্যমে এখন পানি নিষ্কাশনের মাধমে ফসল ফলানো সম্ভব হবে। বিলে ফসল ফলানোর মাধ্যমে আমাদের নিজেদের ও দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারব। এর জন্য আমরা ধন্যবাদ জানাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এবং এই কাজের জন্য যারা শ্রম দিয়েছেন তাদের সকলকে।
ঠাকুরগাঁও বিএমডিএ এর প্রকল্প পরিচালক রেজা মোঃ নুরে আলম জানান, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় দুই কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয় ধরে ২.৫ কিঃমিঃ দূরত্বের ভূ-গর্ভস্থ পাইপ লাইনের নির্মাণ হলে পানি নিষ্কাশনের মাধমে এখন উক্ত বিলে ফসল ফলানো সম্ভব হবে। এই এলাকার মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হবে।
বিএমডিএ ঠাকুরগাঁও এর নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় ভূ-গর্ভস্থ পাইপ লাইনের মাধ্যমে এখন পানি নিষ্কাশনের মাধমে এখন উক্ত বিলে ফসল আবাদ করা সম্ভব হবে। এতে করে এই এলাকার কৃষকরা আমন ও বোরো মৌসুমে কৃষি কাজে আর ক্ষতিগ্রস্থ হবেনা। আমাদের এই জেলায় আরও কোথাও জলাবদ্ধতাধ থাকলে সেখানেও পানি নিষ্কাসনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেন জেলার কোথায় এক ইঞ্চি জমি জলাবদ্ধতা বা সেচের অভাবে পতিত না থাকে।