নজরুল ইসলাম: নোয়াখালীর আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের (আমাউমেক) সিলিং ডেকোরেশনের কাজে ৮ কোটি ৫৯ লাখ ১৭ হাজার ৭৯২ টাকার অতিরিক্ত বিল পরিশোধ করা হয়েছে। কাজটি গণপূর্ত বিভাগের মাধ্যমে করা হলে মোট ব্যয় হতো ৩৮ লাখ ৫৬ হাজার ৩৫০ টাকা। সিলিং কাজটি ছিল প্রকৌশলীয় নির্মাণকাজ অথচ মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ ফার্নিচার গ্রুপে অন্তর্ভুক্ত করে দরপত্র আহ্বান করে। পরস্পর যোগসাজশে ঠিকাদারকে এসব টাকা পাইয়ে দিয়েছেন কলেজের অধ্যক্ষ ও দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সভাপতি ডা. মো. আব্দুছ ছালামসহ দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির অন্য সদস্যরা। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এক অনুসন্ধানে এই অনিয়মের তথ্য উঠে এসেছে।
এ ঘটনায় আমাউমেক অধ্যক্ষ ও দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সভাপতি ডা. মো. আব্দুছ ছালাম, নিওনেটোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বাজারদর কমিটির সভাপতি ডা. এ এস এম ওয়ালী উল্যাহ, অ্যানাটমি বিভাগের প্রভাষক ও বাজারদর কমিটির সদস্য সচিব ডা. মো. নুরুল ইসলাম, বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের প্রভাষক ও বাজারদর কমিটির সদস্য ডা. রিয়াদ উদ্দিন মাহমুদ (১৩২৬২০), মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সদস্য ডা. আবুল কালাম, সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সদস্য ডা. মো. আনোয়ারুল হক, বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সদস্যসচিব ডা. বাপ্পা গৌতম, নোয়াখালী সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ও দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সদস্য ডা. সুমাইয়া সুলতানা জামান, নোয়াখালী গণপূর্ত উপ-বিভাগ-২ এর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (সিভিল) ও দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সদস্য মোশাররফ হোসেন, নোয়াখালী এলজিইডির জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রকৌশলী ও দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সদস্য এস এম রাফেউল ইসলাম ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্ঝরা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আফসানা ইসলাম কাকলীর সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে দুদক।

সাবেক অধ্যক্ষ ডা. সোহাইলুল ইসলাম দুদককে জানান, তিনি ২০১৭ সালের ৩ মে থেকে ৬ আগস্ট পর্যন্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কোনো কমিটিতে জড়িত ছিলেন না, কোনো কার্যাদেশও দেননি। অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদানের কিছু দিনের মধ্যে ঠিকাদার এবং বিভিন্ন মহল থেকে বকেয়া বিলে স্বাক্ষর করার জন্য চাপ আসতে থাকে। ওই বিলগুলো ছাড়াও বিশাল অঙ্কের আরও অনেকগুলো বকেয়া বিল অন্যায়ভাবে স্বাক্ষর করার জন্য তার ওপর ক্রমাগত চাপ আসে। এতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। অধ্যক্ষ হিসেবে সুষ্ঠুভাবে পালন করেন এবং সরকারি অর্থ সাশ্রয় করার জন্য সর্বদা চেষ্টা করেন। ২০১৫-১৬ এবং ২০১৬-১৭ অর্থবছরে সিলিং ডেকোরেশনের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। পিপিআর অনুযায়ী টেন্ডার ইভ্যালুয়েশন কমিটি গঠন করা হয়, যেখানে নোয়াখালীর গণপূর্ত বিভাগ ও এলজিইডির একজন করে সদস্য ছিলেন। ওই কমিটি বাজার দর কমিটির মূল্য অনুযায়ী মূল্যায়ন করে বিভিন্ন আইটেমের ভিত্তিতে সর্বনিম্ন দর গ্রহণ করেন। তখনকার অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. আব্দুছ ছালাম কার্যাদেশ দেন। কার্যাদেশ সম্পাদন হওয়ার পর সার্ভে কমিটি কার্যের গুণগত ও পরিমাণগত মান পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সরেজমিনে বুঝে নেন এবং সার্ভে রিপোর্ট দেন। পিপিআর অনুযায়ী ওই কার্যাদেশের জন্য প্রশাসনিক অনুমোদন, ব্যয় মঞ্জুরি যাচাই করে সঠিক পেয়ে তিনি বিল পরিশোধ করেন। তবে দরপত্র প্রক্রিয়ার সব কাজ অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. আব্দুছ ছালাম সম্পন্ন করেন।
সাবেক অধ্যক্ষ ডা. আব্দুছ ছালাম দুদককে জানান, তিনি টেন্ডার কার্যক্রম পরিচালনা করেন। প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী তিনি দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। সর্বনিম্ন দরদাতাকে কার্যাদেশ দেন এবং তিনি প্রথম দফায় একটি বিল পরিশোধ করেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে মৌখিক নির্দেশ মোতাবেক দরপত্র প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর প্রশাসনিক অনুমোদন এবং ব্যয় মঞ্জুরি পাওয়া সাপেক্ষে বিল পরিশোধ করা হয়।
ডা. মীর হামিদুর রহমান দুদককে জানান, ওইসব সামগ্রী কেনার দরপত্র দাখিলকালে অধ্যক্ষ ছিলেন অধ্যাপক ডা. আব্দুছ ছালাম। তিনি, ডা. বাপ্তা গৌতম ও ডা. মলয় কান্তি চক্রবর্তী দরপত্র উš§ুক্ত কমিটির সদস্য ছিলেন। তখন সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে নির্ঝরা এন্টারপ্রাইজ কাজটি পায়। শিডিউল মোতাবেক তারা কাজটি সম্পাদন করায় কাজের পরিমাপ গ্রহণপূর্বক পরিমাপ অনুযায়ী তাদের বিল পরিশোধ করা হয়।
বাজারদর কমিটির সদস্য ডা. এ এস এম ওয়ালী উল্যাহ দুদককে জানান, দরপত্রসংক্রান্ত কাজে তিনি কিছুই জানেন না। তিনি ওই কার্য সম্পাদনে অপারগতা প্রকাশ করেন। পরবর্তী সময় অধ্যক্ষের নির্দেশে বাজার দর কমিটিতে তিনিসহ দুইজন স্বাক্ষর করেন।
বাজারদর কমিটির সদস্য ডা. মো. নুরুল ইসলাম দুদককে জানান, তিনি বাজারদর কমিটির কাগজে স্বাক্ষর করেননি। কাগজে তার নামে থাকা স্বাক্ষরটি তার নয় এবং এ বিষয়ে তিনি কখনও একসঙ্গে বৈঠক করেননি। তিনি এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না।
চালান মোতাবেক সিলিং ডেকোরেশন বুঝে নিয়ে চালানে স্বাক্ষরকারী বর্তমানে খুলনা মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডা. বাপপা গৌতম দুদককে জানান, তিনি ২০১০ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৮ সালের মার্চ পর্যন্ত আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজে কর্মরত ছিলেন। ওই সময়ে সিলিং ডেকোরেশনের কাজ যথাযথভাবে সম্পন্ন হওয়ায় তিনিসহ আরও দুই জন কর্মকর্তা চালানে সই করেন। পরিমাণ নির্ণয়ের জন্য তারা বর্গফুট হিসেবে পরিমাপ গ্রহণ করেন। কাজের পরিমাণ ও গুণগত মান সঠিক পাওয়ায় তারা কাজ বুঝে নেন। কমিটির অন্য দুইজন সদস্য ডা. আবুল কালাম ও ডা. সুমাইয়া সুলতানা জামানও একই বক্তব্য দেন।
২০১৫ সালে আমাউমেকের জন্য আসবাবপত্র, কম্পিউটার যন্ত্রাংশ, এমএসআর সামগ্রী, যন্ত্রপাতি, সিলিং ও খেলাধুলার সামগ্রী কেনার জন্য উš§ুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হয়। এতে ফার্নিচার গ্রুপে ৪৭ নম্বর আইটেমে সিলিং ডেকোরেশনের প্রতি বর্গফুট ৫ হাজার ৯৫০ টাকাসহ মোট ২৯টি আইটেমে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে নির্ঝরা এন্টারপ্রাইজের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন করা হয়। চুক্তি মোতাবেক ফার্নিচার গ্রুপে সিলিং ডেকোরেশনের কাজ সম্পাদন করা হয়। কাজ সম্পাদনের পর সার্ভে কমিটি মেডিকেল কলেজের বিভিন্ন ধরনের কক্ষভিত্তিক কাজ বুঝে নেন এবং স্টক রেজিস্টারে এন্ট্রি করেন। ডেকোরেশনের কাজটি ২০১৬-১৭ অর্থবছরে সম্পন্ন করা হয়েছে।
গণপূর্ত অধিদপ্তরের ২০১৪ সালের শিডিউল মোতাবেক পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণে দেখা যায়, প্রতি বর্গমিটার সিলিং ডেকোরেশন কাজের মূল্য দাঁড়ায় (বৈদ্যুতিক কাজ বাদে) ১ হাজার ৭৫১ টাকা, যা বর্গফুটে তুলনা করলে দাঁড়ায় ১৬২.৬৭ টাকা। ওই দরের সঙ্গে ভ্যাট ধরা হয়েছে ৫.৫ শতাংশ এবং কোনো ধরনের আইটি সংযুক্ত করা হয়নি। কিন্তু বিল প্ররিশোধের ক্ষেত্রে ভ্যাট ১৫ শতাংশ ও আইটি ৫ শতাংশসহ মোট ২০ শতাংশ বাদে বিল পরিশোধ করা হয়েছে, যা বিলের কপিতে দেখানো হয়েছে। ভ্যাট বাদে ওই কাজের দর দাঁড়ায় প্রতি বর্গফুটে ১৫৩.৭৪ টাকা। যার সঙ্গে ভ্যাট ও আইটি ২০ শতাংশ যোগ করলে দাঁড়ায় প্রতি বর্গফুট ১৮৪.৪৮ টাকা। বিভিন্ন ধরনের বাল্ব, উন্নত ফিটিংস, আনুষঙ্গিক বিষয়ের সমন্বয়, তখনকার বাজারদর ও সিলিং ডেকোরেশন কাজে অভিজ্ঞ প্রতিষ্ঠানের মতামতের ভিত্তিতে বৈদ্যুতিক কাজে প্রতি বর্গফুট কাজের মূল্য দাঁড়ায় ৩০ টাকা। এতে সাকল্যে প্রতি বর্গফুট কাজের মূল্য দাঁড়ায় ২১৪.৪৮ টাকা। সরেজমিনে পরিমাপকালে মোট ২০ হাজার ৬১০.২৭ বর্গফুটের কাজ পাওয়া যায়। বিল পরিশোধ করা হয় ১৭ হাজার ৯৮০ বর্গফুটের। এতে মোট ব্যয়ের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩৮ লাখ ৫৬ হাজার ৩৫০ টাকা। কিন্তু, বিল পরিশোধ করা হয় ১০ কোটি ৬৯ লাখ ৮১ হাজার টাকা। অর্থাৎ ১০ কোটি ৩১ লাখ ২৪ হাজার ৬৫০ টাকার অতিরিক্ত বিল পরিশোধ করা হয়। কিন্তু, সরকারি গণপূর্ত বিভাগ ও বেসরকারি অভিজ্ঞ ডেকোরেটিং প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে পরিমাপ প্রতিবেদন মোতাবেক প্রতি বর্গফুট সিলিং ডেকোরেশনের ব্যয় ধরা হয় ২১৪.৪৮ টাকা। এতে ১৭ হাজার ৯৮০ বর্গফুট কাজে মোট ব্যয়ের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩৮ লাখ ৫৬ হাজার ৩৫০ টাকা। ঠিকাদার ৯টি বিলের মাধ্যমে মোট ১০ কোটি ৬৯ লাখ ৮১ হাজার টাকার বিল দাখিল করেন। বিলের বিপরীতে মোট ১ কোটি ৭২ লাখ ৬ হাজার ৮৫৮ টাকার ভ্যাট ও আয়কর কর্তন করা হয় এবং ভ্যাট আয়কর বাদ দিয়ে নিট ৮ কোটি ৯৭ লাখ ৭৪ হাজার ১৪২ টাকা ঠিকাদারকে পরিশোধ করা হয়। কিন্তু, গণপূর্ত বিভাগের নিরূপিত দর অনুযায়ী মোট বিলের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩৮ লাখ ৫৬ হাজার ৩৫০ টাকা। অর্থাৎ, ৮ কোটি ৫৯ লাখ ১৭ হাজার ৭৯২ টাকার অতিরিক্ত বিল পরিশোধ করা হয়। ওই সিলিং কাজটি গণপূর্ত বিভাগের মাধ্যমে সম্পাদন করলে মোট ব্যয় হতো ৩৮ লাখ ৫৬ হাজার ৩৫০ টাকা।
২০১৫-১৬ অর্থবছরে সম্পাদিত ফার্নিচার আইটেমের ৪৭ নম্বর ক্রমিকে বর্ণিত সিলিং কাজ ছিল প্রকৌশলীয় নির্মাণকাজ অথচ সিলিং কাজটি মেডিকেল কলেজে কর্তৃপক্ষ ফার্নিচার গ্রুপে অন্তর্ভুক্ত করে দরপত্র আহ্বান করে। অপরদিকে লোক দেখানো বাজার দর কমিটি কোনো ধরনের বাজার দর নিরূপণ না করে ও অধ্যক্ষ ডা. আব্দুছ ছালামের নির্দেশে বাজারদর কমিটি প্রতি বর্গফুট কাজের মূল্য ৬ হাজার ২০০ টাকা উল্লেখ করে তারিখবিহীন স্বাক্ষর করে। দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি কোনোরূপ যাচাই বাছাই না করে কিংবা কোনরূপ নোট অব ডিসেন্ট না দিয়ে প্রকৌশল সংক্রান্ত নির্মাণ কাজের বিষয়টি অনুমোদন দেয়। এতে সরকারি গণপূর্ত বিভাগের দর অনুযায়ী প্রতি বর্গফুট ২১৪.৪৮ টাকার বিপরীতে ওই সিলিং কাজের সম্পাদিত কাজ প্রতি বর্গফুট ৫ হাজার ৯৫০ টাকা পরিশোধ করে সরকারের আর্থিক ক্ষতি করে আত্মসাৎ ও আত্মসাতে সহায়তা করা হয়। সরেজমিনে পরিমাপকালে মোট ২০ হাজার ৬১০.২৭ বর্গফুটের কাজ পাওয়া যায়। কিন্তু বিল পরিশোধ করা হয় ১৭ হাজার ৯৮০ বর্গফুটের। তাতে গণপূর্ত বিভাগের দর অনুযায়ী মোট ব্যয়ের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩৮ লাখ ৫৬ হাজার ৩৫০ টাকা। কিন্তু ভ্যাট আয়কর বাদ দিয়ে নিট ৮ কোটি ৯৭ লাখ ৭৪ হাজার ১৪২ টাকা ঠিকাদারকে পরিশোধ করা হয়। এতে ৮ কোটি ৫৯ লাখ ১৭ হাজার ৭৯২ টাকার অতিরিক্ত বিল পরিশোধের মাধ্যমে পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার, নিজে লাভবান এবং একে অপরকে লাভবান করার উদ্দেশ্যে প্রতীয়মান হয়।
দুদকের অভিযোগ বিষয়ে আব্দুছ ছালাম শেয়ার বিজকে বলেন, ‘অভিযোগ থাকলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।’
ডা. বাপ্পা গৌতম শেয়ার বিজকে বলেন, ‘এটা আমি যথাস্থানে বলব।’
ডা. আবুল কালাম শেয়ার বিজকে বলেন, ‘ডকুমেন্টের বাইরে কোনো কাজ করিনি।’
ডা. মো. আনোয়ারুল হক শেয়ার বিজকে বলেন, ‘অনেক আগের ঘটনা। কাগজপত্র না দেখে তো কিছু বলতে পারছি না। আমি ২০২১ সালে অধ্যাপক পদে থাকাবস্থায় অবসর নিয়েছি।’
ডা. রিয়াদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘আমার বক্তব্য আমি দুদকে দিয়েছি। বর্তমানে আমি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ফার্মাকোলজিতে এমফিল করছি।’
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষ শাহেনা আক্তার জানান, ডা. আবুল কালাম চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে সহযোগী অধ্যাপক পদে কর্মরত রয়েছেন। ডা. মো. আনোয়ারুল হক চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে অবসরে চলে গেছেন।