নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহজুড়ে সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ারদর কমলেও সূচকের নেতিবাচক প্রবণতা দেখা গেছে; একই সঙ্গে দৈনিক গড় লেনদেন ২৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ কমেছে। এছাড়া গত সপ্তাহের বাজার মূলধন বেড়েছে শূন্য দশমিক ৫৪ শতাংশ। আগের সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবস লেনদেন হয়েছে, আর গত সপ্তাহেও পাঁচ কার্যদিবস লেনদেন হয়।
সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫১ পয়েন্ট বা দশমিক ৭৮ শতাংশ কমে ৬ হাজার ৫১২ পয়েন্টে স্থির হয়। ডিএসইএস বা শরিয়াহ্ সূচক ১৭ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ১৮ শতাংশ কমে এক হাজার ৪১৯ দশমিক ৭৩ পয়েন্টে পৌঁছায়। অন্যদিকে ডিএস৩০ সূচক ৩৫ দশমিক ২৭ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ কমে দুই হাজার ৩৩০ দশমিক ৪২ পয়েন্টে স্থির হয়। মোট ৩৯৬টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৬১টির, কমেছে ১৭৩টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ১৫২টি কোম্পানির শেয়ারদর। লেনদেন হয়নি ১০টির। দৈনিক গড় লেনদেন হয় ১ হাজার ৪৬১ কোটি ২৩ লাখ ৫৩ হাজার ৪৩৩ টাকা। আগের সপ্তাহে দৈনিক গড় লেনদেন হয় ২ হাজার ২২ কোটি ৭ লাখ ৮১ হাজার টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে ২৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট টার্নওভার বা লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৭ হাজার ৩০৬ কোটি ১৭ লাখ ৬৭ হাজার ১৬৪ টাকা, আগের সপ্তাহে যা ছিল ১০ হাজার ১১০ কোটি ৩৯ লাখ ৮ হাজার ৭৮৯ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে টার্নওভার কমেছে, যা শতাংশের হিসাবে ২৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
গত সপ্তাহে ডিএসইর টপটেন গেইনার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেড। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ২৫ দশমিক ২৪ শতাংশ। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ৫৬ কোটি ৭৫ লাখ ২৭ হাজার ৬০০ টাকার শেয়ার।