নিজস্ব প্রতিবেদক: এক দিনের ব্যবধানে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন বেড়েছে ১৪৫ কোটি টাকা বেশি, যা আগের দিনের তুলনায় প্রায় ১৫ শতাংশ বেশি। অন্য বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের মিশ্রাবস্থায় লেনদেন শেষ হয়েছে।
গতকালের বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডিএসইতে এক হাজার ১২০ কোটি ১৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে; যা আগের দিনের তুলনায় ১৪৫ কোটি ১৩ লাখ টাকা বেশি। আগের দিন এ বাজারে ৯৭৫ কোটি এক লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।
এদিন ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয় ৩২৫টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৪৭টির, কমেছে ১৩৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৩টির শেয়ারদর।
এদিকে ডিএসইএক্স বা প্রধান মূল্যসূচক ৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৯৪১ পয়েন্টে। ডিএসইএস বা শরিয়াহ সূচক ২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ১৬৭ পয়েন্টে। আর ডিএস৩০ সূচক ৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে এক হাজার ৭৯৬ পয়েন্টে
এদিকে গতকাল সোমবার সকালে আগের দিনের ধারাবাহিকতায় সূচকের ইতিবাচক প্রবণতা দিয়ে লেনদেন শুরু হয়। কিন্তু আধা ঘণ্টার মধ্যে বেশ কিছু কোম্পানির মুনাফা তোলার চাপে সূচকের পতন ঘটে। এভাবে দিনভর ওঠানামার পরে ডিএসইর সার্বিক সূচক কিছুটা বাড়লেও বাকি সূচকগুলো কিছুটা কমেছে। তবে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বাড়ার কারণে সার্বিক লেনদেন আগের তুলনায় বেড়েছে ১৫ শতাংশ।
অন্যদিকে গতকাল ডিএসইর লেনদেনের শীর্ষ কোম্পানিগুলো হলো বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেম, স্কয়ার ফার্মা, সাইফ পাওয়ার টেক, ইফাদ অটোস, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, জিপিএইচ ইস্পাত, এপোলো ইস্পাত, সিএমসি কামাল, আইডিএলসি ও ওরিয়ন ফার্মা। আর দর বৃদ্ধির শীর্ষ কোম্পানিগুলো হলো ফু-ওয়াং ফুড, আইডিএলসি, সিএমসি কামাল, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স, সেন্ট্রাল ফার্মা, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ, প্রাইম টেক্সটাইল, প্রভাতি ইন্স্যুরেন্স, ন্যাশনাল ফিড মিলস ও সাফকো স্পিনিং।
একইভাবে গতকাল দর হারানোর শীর্ষ কোম্পানিগুলো হলো বিডি অটোকারস, জুটস স্পিনার্স, মডার্ন ডায়িং, ন্যাশনাল হাউজিং অ্যান্ড ফিন্যান্স, গোল্ডেন হার্ভেস্ট, ফাইন ফুডস, জেএমআই সিরিঞ্জ, ন্যাশনাল টি, সমতা লেদার ও পদ্মা লাইফ।
এদিকে খাতভিত্তিকে লেনদেনে চোখ বোলালে দেখা যায়, গতকাল সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে প্রকৌশল খাতের শেয়ার। মোট লেনদেনে এ খাতের অবদান ছিল ২৫ দশমিক ২৯ শতাংশ। পরের অবস্থানে থাকা ওষুধ ও রসায়ন খাত। দিনজুড়ে এ খাতের অবদান ছিল প্রায় ১১ শতাংশ। লেনদেনের দৌড়ে এগিয়ে ছিল আর্থিক খাতও। মোট লেনদেনে এ খাতের অবদান ছিল ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ। পরের অবস্থানে থাকা খাতগুলো হচ্ছে বস্ত্র, খাদ্য ও ব্যাংকিং।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের মিশ্রাবস্থায় লেনদেন শেষ হয়েছে। সিএসইতে ৫২ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। সিএসই সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ১৬৯ পয়েন্টে। সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৬০টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১২০টির, কমেছে ১০৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩১টির।
সিএসইর লেনদেনের শীর্ষ কোম্পানিগুলো হলো বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেম, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, বিএসআরএম লিমিটেড, ইস্টার্ন হাউজিং, এপোলো ইস্পাত, জিপিএইচ ইস্পাত, সাইফ পাওয়ার টেক, এবি ব্যাংক, সামিট পোর্ট এলায়েন্স ও বিডি থাই। অন্যদিকে গতকাল এখানে দর হ্রাসের শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলো হচ্ছে পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স, এপেক্স স্পিনিং, সোনার গাঁও টেক্সটাইল, এএমসিএল প্রাণ, এনটিসি ও জিএইচএআইএল।