প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

ডিএসইর কাছে ব্যাখ্যা তলব বিএসইসির

কৃষিবিদ ফিডের উদ্যোক্তার শেয়ার বিক্রির ঘোষণা!

আতাউর রহমান: দেশের পুঁজিবাজারের এসএমই প্ল্যাটফর্মে তালিকাভুক্ত কোম্পানি কৃষিবিদ ফিড লিমিটেডের উদ্যোক্তা আইনবহির্ভূত চলতি বছরের ১০ নভেম্বর শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দেন। এরপর বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিষয়টি প্রচার করা হলে পরে শেয়ার বিক্রির ঘোষণা প্রত্যাহার করে কোম্পানি। পরে কোম্পানিটি ব্যাখ্যা দিলেও এবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) কাছে তিন কার্যদিবসের মধ্যে বিস্তারিত ব্যাখ্যা তলব করেছে নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সম্প্রতি এ বিষয়ে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর একটি চিঠি পাঠিয়েছে বিএসইসি।

বিএসইসির চিঠিতে বলা হয়েছে, কৃষিবিদ ফিড লিমিটেডের উদ্যোক্তার শেয়ার বিক্রির ঘোষণাকে উল্লেখ করে বলা হয়, কোম্পানির একজন উদ্যোক্তা শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দিলে গত ১০ নভেম্বর বিভিন্ন মুদ্রিত এবং ইলেকট্রনিক সংবাদমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচার করা হয়েছিল। তাই এ বিষয়ে ডিএসইকে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯-এর ধারা ৬(৩)-এর অধীনে এ চিঠি জারির তিন কার্যদিবসের মধ্যে কমিশনের কাছে বিষয়টি বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা দেয়ার নির্দেশ করা হয়েছে।

সূত্রমতে, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন অনুযায়ী, কোনো কোম্পানির বার্ষিক হিসাব সমাপ্ত হওয়ার দুই মাস পূর্ব থেকে পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক ওই হিসাব বিবেচিত, গৃহীত বা অনুমোদিত হওয়ার সময়কাল পর্যন্ত কোনো পরিচালক, স্পন্সর কেউ শেয়ার বিক্রি করতে পারবে না, যেহেতু কৃষিবিদ ফিড জুন ক্লোজিং বা হিসাববছর সমাপ্ত হয় জুন মাসে (জুলাই-জুন)। গত জুন মাসে কোম্পানিটির হিসাববছর সমাপ্ত হলেও আলোচিত সময়ে পর্ষদ সভায় সর্বশেষ হিসাববছর অনুমোদিত হয়নি কোম্পানিটির। ফলে এই সময়ে কোনো স্পন্সরের শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দেয়া আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। কিন্তু ১০ নভেম্বর কৃষিবিদ ফিডের উদ্যোক্তা জিন্নাত আরা দেড় লাখ শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দেন। তার এ ঘোষণার মাধ্যমে কৃষিবিদ ফিড আইন লঙ্ঘন করে। পরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার হলে শেয়ার বিক্রির ঘোষণা প্রত্যাহার করে কোম্পানি।

এ বিষয়ে জানতে ডিএসইরি প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) মো. সাইফুর রহমান মজুমদারের সঙ্গে শেয়ার বিজ থেকে যোগাযোগের জন্য ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। পরে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করা হলে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো উত্তর দেননি।

অপরদিকে কোম্পানির পক্ষ থেকে আরজেএসসির দায়িত্বে থাকা আব্দুল করিম শেয়ার বিজকে বলেন, ২০১০ সালে আইপিও আবেদনের ক্ষেত্রে যে আইন করা হয় সেখানে এ বিষয়ে বলা থাকলেও এসএমইর আইনে এ বিষয়ে কিছু বলা নেই। এরপরও বিষয়টি নিয়ে ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে, যে কারণে শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দেয়ার পরের দিন বিএসইসি ব্যাখ্যা চায় এবং ১৩ নভেম্বরের মধ্যে আমরা ব্যাখ্যা জমা দিই।