Print Date & Time : 4 June 2023 Sunday 1:08 pm

ঢাকায় আক্রান্তদের ৬৯% ওমিক্রনে সংক্রমিত: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকায় এখন যারা কভিডে আক্রান্ত হচ্ছেন, তাদের ৬৯ শতাংশই নতুন ধরন ওমিক্রনে সংক্রমতি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ‘আমরা ঢাকায় যে নমুনা পরীক্ষা করেছি, জেনোম সিকোয়েন্স করেছি, তাতে দেখা গেছে ওমিক্রন (আক্রান্তের) এখন ৬৯ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। যেটা আগে ১৩ শতাংশ ছিল। আমরা গত ১০ দিনের মধ্যেই এ তথ্য পেয়েছি। আমরা মনে করি ঢাকার বাইরেও একই হার হবে।’ গতকাল সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

গত বুধবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে জাহিদ মালেক বলেছিলেন কভিড আক্রান্তদের ‘১৫-২০ শতাংশই’ কভিডের নতুন ধরনে আক্রান্ত। ওইদিনই ঢাকার বাইরে প্রথম ওমিক্রন আক্রান্তের খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

গতকাল তিনি সচিবালয়ে বলেন, ‘আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ায় সরকার চিন্তিত। এ কারণে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। ডেল্টা এবং ওমিক্রনে আক্রান্ত লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। আমরা এ বিষয়ে কিছুটা হলেও চিন্তিত, আতঙ্কিত। গত ১৫ দিনে ১৮ শতাংশে চলে এসেছে শনাক্তের হার। যেভাবে বাড়ছে তাতে শনাক্তের হার ৩০ শতাংশ ছাড়াতে বেশি সময় লাগবে না।’

হাসপাতালে রোগীর চাপও আবার বেড়ে যাচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এখন যেভাবে বাড়ছে, তাতে আগামী এক-দেড় মাসের মধ্যে হাসপাতালে কোনো জায়গা থাকবে না। তখন চিকিৎসা দেয়া কঠিন হয়ে পড়বে। এ কারণে জনগণকে আহ্বান করছি, অনুরোধ করছি তারা যেন স্বাস্থ্যবিধি মানেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখেন।’

গত ১১ ডিসেম্বর জিম্বাবুয়ে ফেরত দুই নারী ক্রিকেটারের ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার খবর সরকারিভাবে জানানো হয়েছিল। আক্রান্তদের মধ্যে যাদের নমুনা থেকে ভাইরাসের জেনোম সিকোয়েন্স করা হয়েছে, তাদের মধ্যে এ পর্যন্ত মোট ৫৫ জনের ক্ষেত্রে ওমিক্রনের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তবে সবার ক্ষেত্রে জেনোম সিকোয়েন্স হয় না বলে সঠিক সংখ্যাও বলা সম্ভব না।

কভিডের এ নতুন ধরনে ঢাকার বাসাবো এলাকায় প্রথম শনাক্তের খবর আসে। পরে বনানী ও মহাখালীতে রোগী পাওয়া যায়। ঢাকার বাইরে যশোরে ওমিক্রন শনাক্তের পর ঢাকার চাঁনখারপুল এবং উত্তরায় মিলেছে এ ধরন।

দেশে ওমিক্রনের সামাজিক সংক্রমণও (কমিউনিটি ট্রান্সমিশন) যে শুরু হয়েছে, সে কথা বুধবারই ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

গতকাল তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বুস্টার ডোজ দেয়ার বয়সসীমা এখন ৬০ বছর। এখন থেকে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ৫০ বছর থেকেই বুস্টার ডোজ দেয়া হবে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন রয়েছে।’

গত ২৮ ডিসেম্বর সারাদেশে কভিড টিকার বুস্টার ডোজ দেয়া শুরু করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। যাদের বয়স ৬০ বছরের বেশি এবং যারা কভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামনের সারিতে আছেন, তাদের টিকার বুস্টার ডোজ দেয়া হচ্ছে। টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার ছয় মাস পরে তারা বুস্টার ডোজ বা তৃতীয় ডোজ নিতে পারবেন।

যে আগে যে হাসপাতাল থেকে দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন, সেই হাসপাতাল থেকে তার মোবাইলে বুস্টার ডোজের তারিখ জানিয়ে এসএমএস পাঠানো হচ্ছে। সেই কেন্দ্রে নির্ধারিত দিনে গিয়ে তৃতীয় ডোজ নিতে হচ্ছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, রোববার পর্যন্ত সারাদেশে ছয় লাখ ৮৫ হাজারের বেশি মানুষকে বুস্টার ডোজ দেয়া হয়েছে।