নিজস্ব প্রতিবেদক: এবার দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কেও (পূর্ববর্তী নাম ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে) মোটরসাইকেল নিষিদ্ধের কথা ভাবছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ)। ইতোমধ্যে এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল নিষিদ্ধ করার প্রস্তাবও পাঠিয়েছে সরকারের এ সংস্থাটি। গতকাল রাজধানীর সড়ক ভবনে সওজের সঙ্গে কোরিয়ান এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশনের সঙ্গে এক চুক্তি সই অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানান সওজের প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম মনির হোসেন পাঠান।
তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব পাঠিয়েছি। তবে সার্ভিস লেনে মোটরবাইক চলাচল করতে পারবে। এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল নিষিদ্ধ করার বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এর আগে গত ২৫ জুন পদ্মা সেতু প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এর পরদিন ২৬ জুন সর্বসাধারণের জন্য পদ্মা সেতু উš§ুক্ত করে দেয়া হয়। কিন্তু বিপুল মোটরসাইকেল চলাচলের কারণে সৃষ্ট অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ২৭ জুন ভোর ৬টা থেকে পদ্মা সেতুতে নিষিদ্ধ রয়েছে মোটরসাইকেল চলাচল।
খোলার প্রথম দিনে শত শত মোটর সাইকেলের ভিড়ে দুর্ঘটনার শঙ্কায় পদ্মা সেতুতে এ দ্বিচক্রযান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গত রোববার সকালে বহু প্রতীক্ষিত এ সেতু চালুর পর রাতেই মোটর সাইকেলের ওঠা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত জানায় সেতু বিভাগ।
এক তথ্যবিবরণীতে বলা হয়, ‘২৭ জুন ২০২২, সোমবার ভোর ৬টা থেকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।’ এর কারণ জানতে চাইলে সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন বলেন, পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল অনেক বেড়ে গেছে, তারা ঝুঁকিপূর্ণ চলাচল করছে। দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছি। তাই আগামীকাল থেকে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ থাকবে। কত দিন এ নিষেধাজ্ঞা চলবেÑজানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
৬ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুতে বাইসাইকেল, অটোরিকশা চলাচল নিষিদ্ধ থাকলেও মোটরসাইকেল চলাচলে বাধা ছিল না। বাইকের জন্য ১০০ টাকা টোলও নির্ধারিত হয়েছিল।
শনিবার উদ্বোধনের পর রোববার সকাল ৬টায় খুলে দেয়া হয় পদ্মা সেতু। তখন থেকেই মোটরসাইকেলের ঢল নামে। সন্ধ্যায়ও প্রচুর মোটরসাইকেলকে সেতুতে ওঠার অপেক্ষায় থাকতে দেখা যায়। মোটর বাইকের আরোহীরা সেতুর ওপর উঠে দল বেঁধে, আনন্দ-উল্লাস আর হৈ-হুল্লোড়ে মেতে ছিল দিনভর। এর মধ্যে একটি বাইক দুর্ঘটনার খবরও আসে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
এদিকে আরেক তথ্য বিবরণীতে সবাইকে নির্ধারিত টোল দিয়ে পদ্মা সেতুতে উঠতে বলা হয়েছে। তাতে আরও বলা হয়, পদ্মা সেতুর ওপর সব ধরনের যানবাহন থামানো, হেঁটে চলাচল করা ও ছবি তোলা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং আইনগতভাবে দণ্ডনীয় অপরাধ।