প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস বেড়েছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৩) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিবিধ খাতের কোম্পানি বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন। অন্য বছরের তুলনায় এই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ৭৭ পয়সা বেড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ৮ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৩ টাকা ৩১ পয়সা। অর্থাৎ তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ৭৭ পয়সা। অন্যদিকে প্রথম তিন প্রান্তিক বা ৯ মাসে (জুলাই, ২০২২-মার্চ, ২০২৩) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১২ টাকা ৪৯ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১১ টাকা ৫৯ পয়সা। অর্থাৎ তিন প্রান্তিকের হিসাবে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ৯০ পয়সা। এছাড়া ২০২৩ সালের ৩১ মার্চে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৮৩ টাকা এক পয়সা। এছাড়া তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১৯ টাকা ৪৮ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ১৭ টাকা ৭৬ পয়সা।

এদিকে সর্বশেষ ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৪ টাকা ৮০ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২২ তাদের শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৭২ টাকা ৫২ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে তাদের শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২৩ টাকা ৮৭ পয়সা। এর আগে ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের বিনিয়োগকারীদের জন্য ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। সে সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ৪ টাকা ৭২ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২১ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৬০ টাকা ২৮ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১২ টাকা ৭৮ পয়সা।

কোম্পানিটি ১৯৭৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির এক হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৫২ কোটি ৫৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট ১৫ কোটি ২৫ লাখ ৩৫ হাজার ৪০ শেয়াররের মধ্যে সরকারি ৫২ দশমিক ১০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৩ দশমিক ৯০ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ০৭ শতাংশ বা ১০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ১৩৪ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। ওইদিন কোম্পানিটির প্রায় ৪৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দিনজুড়ে ৩৪ লাখ ৫২ হাজার ৭৩৫টি শেয়ার মোট ৪ হাজার ৬৫৪ বার হাতবদল হয়।