প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

থানচিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

রুমা-রোয়াংছড়িতে অনিদিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা বলবৎ

????????????????????????????????????

প্রতিনিধি, বান্দরবান : বান্দরবানের থানচিতে পর্যটকদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হয়েছে। তবে সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানে নিরাপত্তা বিবেচনায় রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে অনিদিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা এখনো বলবৎ রয়েছে।

আজ বুধবার দিবাগত রাতে নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে। গত এগারো জানুয়ারী বান্দরবান জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপনে দেয়া এক সপ্তাহের সাময়িক নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা। নতুনভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি না করায় থানচি উপজেলায় ভ্রমণে পর্যটকদের আর কোনো বাধাঁ রইলো না। দেশী-বিদেশী সবধরনের পর্যটক থানচি উপজেলার রোমাঞ্চকর পর্যটন স্পট নাফাকুম, রেমাক্রী, বড়মদক, আন্ধারমানিক, অমিয়কুম, তমাতুঙ্গি’সহ দর্শণীয় স্থানগুলো ভ্রমণ করতে পারবেন।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসন সূত্র জানায়, বান্দরবান জেলার সীমান্তবর্তী পাহাড়ী এলাকাগুলোতে যৌথ বাহিনীর জঙ্গী ও সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। সাঁড়াশি অভিযানে ভ্রমণকারীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় গতমাসের ষোলই ডিসেম্বর থেকে রুমা ও রোয়াংছড়ি দুটি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে অনিদিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা জারি করে প্রশাসন। নিষেধাজ্ঞার কারণে রোয়াংছড়ি উপজেলার দেবতাকুম, শীলবান্ধা ঝর্ণা, শিপ্পি পাহাড়, রুমা উপজেলার রহস্যময় বগা লেক, রাইক্ষ্যংপুকুর লেক, ক্যাওক্রাডং, তাজিংডং, জাদীপাই ঝর্ণা, তিনাপ সাইতার, রিজুক ঝর্ণা’সহ আশপাশের দর্শণীয় স্থানগুলোতে ভ্রমণ করতে পারছেনা ভ্রমণকারী পর্যটকরা।

এদিকে একের পর এক পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞায় গোটা বান্দরবান জেলায় ধস নেমেছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট সবধরনের ব্যবসা বাণিজ্যে। পর্যটনের ভরা মৌসুমেও ফাঁকা হয়ে পড়েছে জেলার দর্শনীয় পর্যটন স্পটগুলোও।

নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেন, সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানে নিরাপত্তা বিবেচনায় রুমা ও রোয়াংছড়ি দুটি উপজেলায় ষোলই ডিসেম্বর থেকে অনিদিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা বলবৎ রয়েছে। তবে থানচি উপজেলা ভ্রমণে আর কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। বুধবার থেকে পর্যটকরা থানচি উপজেলার দর্শণীয় স্থানগুলোতে ঘুরে বেড়াতে পারবে।