প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

দর বৃদ্ধির শীর্ষে মেট্রো স্পিনিং

নিজস্ব প্রতিবেদক:ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল টপটেন গেইনার বা দর বাড়ার শীর্ষে উঠে এসেছে বস্ত্র খাতের কোম্পানি মেট্রো স্পিনিং লিমিটেড। আর কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ বা ৩ টাকা ১০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৩৪ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ৩ লাখ ৮ হাজার ৩৩৫ শেয়ার ৫০৪ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১ কোটি ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৩০ টাকা ১০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৩৪ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ১৯ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ৫৪ টাকা ৬০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।

এদিকে সম্প্রতি মেট্রো স্পিনিং লিমিটেড গত ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী মেট্রো স্পিনিংয়ের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে। চলতি হিসাববছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২২) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯৮ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছিল ৮৫ পয়সা। সে হিসেবে কোম্পানিটির ইপিএস বেড়েছে ১৩ পয়সা। ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ৯৭ পয়সা। ৩০ জুন ২০২২ কোম্পানিটির এনএভিপিএস ছিল ২০ টাকা ৬৫ পয়সা। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) ছিল ১ টাকা ৩১ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে কোম্পানিটির এনওসিএফপিএস ছিল ৪৬ পয়সা।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি মেট্রো স্পিনিং লিমিটেড পরিচালনা পর্ষদের ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য সুপারিশকৃত বোনাস লভ্যাংশ অনুমোদন করেনি নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৩ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু বোনাস লভ্যাংশ চূড়ান্ত করার আগে বিএসইসির অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। এজন্য কোম্পানিটি বিএসইসির কাছে আবেদন করার পরিপ্রেক্ষিতে এই বোনাস লভ্যাংশ দেয়ার অনুমোদন পায়নি। উল্লেখ্য, বিদ্যমান আইনে বিএসইসির অনুমোদন ছাড়া বোনাস শেয়ার ইস্যু করা যায় না। বিএসইসি পর্যালোচনা করে যে কোম্পানিকে মনে হবে বোনাস দেয়ার জন্য উপযুক্ত, সেই কোম্পানিরই কেবল বোনাস অনুমোদন দেয়া হবে।

২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৩৮ পয়সা এবং ৩০ জুনে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ৬৫ পয়সা। আর আলোচিত হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৫৬ পয়সা (ঘাটতি)। এর আগে ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। সে সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯৯ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২১ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ৩৬ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৫৪ পয়সা।

‘বি’ ক্যাটেগরির এ কোম্পানিটি ২০০২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৬১ কোটি ৬৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা। কোম্পানির রিজার্ভ রয়েছে ৪৯ কোটি ৭২ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৬ কোটি ১৬ লাখ ৯৮ হাজার ২৭৫টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের ৩০ দশমিক ০৯ শতাংশ উদ্যোক্তা বা পরিচালক, প্রাতিষ্ঠানিক ১৩ দশমিক ৪০ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৫৬ দশমিক ৫১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।