প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

দর বেড়েছে বিমা খাতে

নিজস্ব প্রতিবেদক: সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস গতকাল কিছুটা বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে দেশের পুঁজিবাজারে। তবে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। এদিন ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটদর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেশি ছিল বিমা খাতের শেয়ারে। ফলে খাতটির শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। এরপর দর বৃদ্ধির দ্বিতীয় স্থানে ছিল কাগজ ও মুদ্রণ খাতের শেয়ার। বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে যথাক্রমে ছিল ভ্রমণ ও অবকাশ এবং আইটি খাত। অপরদিকে টানা সপ্তম দিনের মতো পাট খাতের শেয়ারদর কমেছে সবচেয়ে বেশি।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল বিমা খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ২ দশমিক ৪০ শতাংশ। এদিন খাতটিতে মোট ৫৬ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ৩২টির দর বেড়েছে এবং ১৭টির দর কমেছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা কাগজ খাতে দর বেড়েছে ১ দশমিক ৪০ শতাংশ। খাতটিতে মোট ৬টি কোম্পানির লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১টির দর বেড়েছে এবং ৩টির কমেছে ও বাকিগুলোর অপরিবর্তিত ছিল। ১ দশমিক ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ভ্রমণ খাত তৃতীয় স্থানে ছিল। এ খাতে লেনদেনে ৪টি কোম্পানির মধ্যে ১টি দর বেড়েছে এবং ২টির অপরিবর্তিত ছিল। চতুর্থ স্থানে থাকা আইটি খাতে দর বেড়েছে ১ শতাংশ। এছাড়া টেলিকমিউনিকেশন, সিমেন্ট, আর্থিক, মিউচুয়াল ফান্ড, প্রকৌশলী, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ এবং ব্যাংক খাতে শেয়ারদর বৃদ্ধির বা কমার কোনো পরিবর্তন হয়নি।

এদিকে গতকাল বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কম থাকায় পাট খাতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে। খাতটিতে শেয়ার দর কমেছে ১ শতাংশ। এরপর দর বেশি কমেছে ট্যানারি খাতের শেয়ারে। খাতটিতে দশমিক ৪০ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে। দশমিক ২০ শতাংশ শেয়ারদর কমে তৃতীয় স্থানে ছিল সিরামিক এবং খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাত। 

অপরদিকে গতকাল লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাতে। খাতটিতে গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ২০ দশমিক ৪০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। এরপর দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিমা খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৯ দশমিক ৯০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ১৩ দশমিক ৭০ শতাংশ লেনদেন হওয়া আইটি খাত রয়েছে তৃতীয় স্থানে। চতুর্থ স্থানে থাকা বিবিধ খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১২ দশমিক ৯০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২১৫ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক দশমিক ১ পয়েন্ট কমেছে এবং ডিএসই-৩০ সূচক দশমিক ২৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১৩৫৮ পয়েন্টে এবং ২১৯৯ পয়েন্টে।

ডিএসইতে ৫০৭ কোটি ৫৭ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে; যা আগের কার্যদিবস থেকে ২৪ কোটি ৮৫ লাখ টাকা কম। এর আগেরদিন লেনদেন হয়েছিল ৫৩২ কোটি ৪২ টাকার। ডিএসইতে ৩৩৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ারদর বেড়েছে ৫২টির বা ১৫ দশমিক ৫৭ শতাংশের, শেয়ারদর কমেছে ১১১টির বা ৩৩ দশমিক ২৩ শতাংশের এবং ১৭১টির বা ৫১ দশমিক ২০ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিটদর অপরিবর্তিত রয়েছে।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮৩৫৩ পয়েন্টে। সিএসইতে ১৪৯টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৭টির দর বেড়েছে, কমেছে ৪৪টির আর ৬৮টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ৫ কোটি ২৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।