নিজস্ব প্রতিবেদক: সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে কিছুটা উত্থান হলেও দ্বিতীয় দিনে পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে দেশের পুঁজিবাজারে। এদিন পুঁজিবাজারের সব সূচক কমেছে। তবে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনে অংশ বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটদর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতনেও বিনিয়োগকারীদের চাহিদার শীর্ষে শুধু উঠে এসেছে পাট খাতের শেয়ার। ফলে আলোচিত খাতটিতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। এদিকে গতকাল টেলিকমিউনিকেশন, মিউচুয়াল ফান্ড, আর্থিক, প্রকৌশল, বস্ত্র, ব্যাংক এবং জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাত ছাড়া বাকি সব খাতে শেয়ারদরে পতন হয়েছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল আগ্রহ বেশি থাকা পাট খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ১ দশমিক ৫০ শতাংশ। এদিন খাতটিত মোট ৩টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২টি কোম্পানির এবং ১টি কোম্পানির শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। এছাড়া গতকাল টেলিকমিউনিকেশন, মিউচুয়াল ফান্ড, আর্থিক, প্রকৌশল, বস্ত্র, ব্যাংক এবং জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের শেয়ারদর বৃদ্ধি বা কমার ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন হয়নি।
এদিকে গতকাল বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কম থাকায় শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে আইটি খাতের কোম্পানির শেয়ারে। খাতটিতে গতকাল শেয়ারদর কমেছে ৫ দশমিক ৪০ শতাংশ। খাতটিতে গতকাল মোট ১১টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৯টি কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে এবং ২টির শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। এরপর দ্বিতীয় স্থানে থাকা সেবা ও আবাসন খাতের শেয়ারদর কমেছে ৩ দশমিক ৭০ শতাংশ। খাতটিতে গতকাল মোট ৪টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ২টির শেয়ারদর কমেছে এবং ২টি কোম্পানির শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। ২ দশমিক ৮০ শতাংশ শেয়ারদর কমে গতকাল তৃতীয় স্থানে ছিল কাগজ ও মুদ্রণ খাত। খাতটিতে গতকাল মোট ৬টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ২টি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে এবং ২টির শেয়ারদর কমেছে।
অপরদিকে গতকাল লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে আইটি খাতে। খাতটিতে গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ২১ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। এরপর দ্বিতীয় স্থানে থাকা জীবন বিমা খাতে গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৫ দশমিক ৩০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ১৩ দশমিক ৯০ শতাংশ লেনদেন হওয়া কাগজ খাত রয়েছে তৃতীয় স্থানে। গতকাল চতুর্থ স্থানে থাকা ওষুধ খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১১ দশমিক ২০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩৪ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট বা দশমিক ৫৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ১৯৭ দশমিক ৯৩ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৯ দশমিক ৩৯ পয়েন্ট বা দশমিক ৬৮ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১০ দশমিক ৮০ পয়েন্ট বা দশমিক ৪৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৩৫৪ দশমিক ৫৯ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ১৯১ দশমিক ৫৯ পয়েন্টে।
ডিএসইতে গতকাল ৪১৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে; যা আগের কার্যদিবস থেকে ৭৭ কোটি ০২ লাখ টাকা বেশি। আগের কার্যদিবস লেনদেন হয়েছিল ৩৩৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকার। গতকাল ডিএসইতে ২৮৯ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ারদর বেড়েছে ১০টির বা ৩ দশমিক ৪৬ শতাংশের, শেয়ারদর কমেছে ৭৩টির বা ২৫ দশমিক ২৬ শতাংশের এবং ২০৬টির বা ৭১ দশমিক ২৮ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিটদর অপরিবর্তিত ছিল।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৭২ দশমিক ৭৯ পয়েন্ট বা দশমিক ৩৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৩২৯ দশমিক ৪৪ পয়েন্টে। সিএসইতে গতকাল ১১৪টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১২টির দর বেড়েছে, কমেছে ৪৬টির আর ৫৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ৭ কোটি ৩২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।