প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

দুর্বল ধারায় অভিযোগপত্র শাস্তি হবে নামমাত্র

মানি লন্ডারিংয়ের ২৭ মামলা

রহমত রহমান: ঘোষণা দেয়া হয়েছে পোলট্রি ফিডের ক্যাপিটাল মেশিনারি। আর আমদানি করা

য়েছে মদ, সিগারেট, এলইডি টেলিভিশনসহ উচ্চ শুল্কের পণ্য। ১২ কনটেইনারে ১৩৯ কোটি টাকার পণ্য জব্দ করা হয়। অথচ পণ্য মূল্য ঘোষণা করা হয়েছে মাত্র ৫০ লাখ। দুটি অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠান এ পণ্য আমদানি করেছে। প্রতিষ্ঠানের ভ্যাট নিবন্ধন খোলা থেকে শুরু করে ব্যাংকে এলসি খোলা সবই জাল কাগজে খোলা হয়েছে। এই দুটি প্রতিষ্ঠান তদন্ত করতে গিয়ে দেখা গেল, দুটি প্রতিষ্ঠান আগে আমদানি করেছে আরও ৭৮ কনটেইনার পণ্য। তদন্তে দেখা গেল, আরও দুটি প্রতিষ্ঠান একইভাবে জালিয়াতি করে ৫৬ কনটেইনার পণ্য আমদানি করেছে। চারটি প্রতিষ্ঠানই মিথ্যা ঘোষণা আর জালিয়াতির মাধ্যমে একদিকে অর্থ পাচার করেছে। অন্যদিকে বিপুল পরিমাণ শুল্ককর ফাঁকি দিয়েছে। চারটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে ২৯টি মামলা করে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। মামলা তদন্ত করতে গিয়ে দেখা গেল, যে ধারায় মামলা করা হয়েছে, সেই ধারায় অভিযোগপত্র দেয়া হলে অভিযুক্তরা সর্বোচ্চ নয়, নামমাত্র শাস্তি পাবে। সর্বোচ্চ শাস্তি যে ধারায় সেই ধারায় তদন্ত করার এখতিয়ার নেই কাস্টমস গোয়েন্দার। এখতিয়ার রয়েছে, দুদক ও সিআইডির। সে জন্য এই দুই সংস্থার সঙ্গে যৌথ তদন্ত করে অভিযোগপত্র দেয়ার বিষয়ে দিকনির্দেশনা চেয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দিয়েছে কাস্টমস গোয়েন্দা। সম্প্রতি এই চিঠি দেয়া হয়।

এনবিআর সূত্রমতে, আমদানিতে জালিয়াতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগে চার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে ২৯টি মামলা করে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। চারটি প্রতিষ্ঠান হলোÑমেসার্স এগ্রো বিডি অ্যান্ড জেপি, মেসার্স হেনান আনহুই এগ্রো এলসি, হেব্রা বাঙ্কো ও চায়না বিডিএল। মামলার তদন্ত শেষ পর্যায়ে। তদন্তে জালিয়াতি, জাল কাগজপত্র তৈরি, অর্থ পাচার ও দুর্নীতির সুস্পষ্ট প্রমাণ পেয়েছে কাস্টমস গোয়েন্দা। তবে যে ধারায় মামলা করা হয়েছে, সেই ধারায় অভিযোগ দেয়া হলে মামলা দুর্বল হয়ে যাবে; শাস্তি কম হবে। অর্থাৎ নামমাত্র শাস্তি হবে। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা, ২০১৯-এর তফসিল অনুযায়ী ২৭টি মামলায় বিধিমালার কয়েকটি ধারায় কাস্টমস গোয়েন্দার শাস্তির প্রস্তাব করার সুযোগ নেই; যেসব ধারায় অভিযোগপত্র দেয়া হলে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ও জড়িতরা সর্বোচ্চ শাস্তি পাবেন। এ বিষয়ে দিকনির্দেশনা চেয়ে সম্প্রতি কাস্টমস গোয়েন্দা থেকে এনবিআর চেয়ারম্যানকে চিঠি দেয়া হয়েছে।

কাস্টমস গোয়েন্দা সূত্রমতে, ২০১৭ সালের ৫ ও ৬ মার্চ চট্টগ্রাম বন্দরে ১২ কনটেইনার পণ্য আটক করে কাস্টমস গোয়েন্দা। তথ্য ছিল, পোলট্রি ফিডের ক্যাপিটাল মেশিনারি ঘোষণায় আমদানি নিষিদ্ধ ও নিয়ন্ত্রিত পণ্য খালাস করা হচ্ছে। ১২টি কনটেইনার খুলে তাতে সিগারেট, এলইডি টেলিভিশন, ফটোকপিয়ার মেশিন ও মদ পাওয়া যায়। ছয়টি কনটেইনারের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান কেরানীগঞ্জ আব্দুল্লাহপুর চরগলগলিয়ার এগ্রো বিডি অ্যান্ড জেপি ও অন্য ছয় কনটেইনারের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান রাজধানীর খিলক্ষেত ডুমনির হেনান আনহুই এগ্রো এলসি। কাস্টমস গোয়েন্দার প্রাথমিক তদন্তে দেখা যায়, দুটি প্রতিষ্ঠান এর আগে মেশিনারিজ ঘোষণা দিয়ে ৭৮ কনটেইনার পণ্য খালাস নিয়েছে। এর মধ্যে এগ্রো বিডি ৯টি এলসিতে ৯টি বিল অব এন্ট্রিতে ৪৬ কনটেইনার ও হেনান আনহুই ৬টি এলসিতে ৬ বিল অব এন্ট্রিতে ৩২ কনটেইনার পণ্য আমদানি করেছে।

কাস্টমস গোয়েন্দার অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এগ্রো বিডি এন্ড জেপি লালবাগ ভ্যাট বিভাগীয় কার্যালয় ও হেনান আনহুই গুলশান বিভাগীয় কার্যালয় থেকে সাপ্লাইয়ার অ্যান্ড ইম্পোর্টার হিসেবে ভ্যাট (মূসক) নিবন্ধন নিয়েছে। কিন্তু আমদানিতে ম্যানুফ্যাকচারার (উৎপাদনকারী) হিসেবে সুবিধা নিয়েছে দুটি প্রতিষ্ঠান। দুটি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী আব্দুল মোতালেব। তবে তিনি নিজের জাতীয় পরিচয় ও সইয়ের ঘরে খোরশেদ আলম হিসেবে সই করেছেন। জালিয়াতি করে মূসক নিবন্ধন নিয়েছে দুটি প্রতিষ্ঠান। দুটি প্রতিষ্ঠান জালিয়াতির মাধ্যমে উৎপাদনকারী হিসেবে একদিকে অবৈধভাবে অন চেসিস ডেলিভারির সুযোগ নিয়েছে, অন্যদিকে ৪ শতাংশ হারে অ্যাডভান্স ট্রেড ভ্যাট (এটিভি) মওকুফ সুবিধা নিয়েছে।

আরও দেখা গেছে, এগ্রো বিডি অ্যান্ড জেপি ও হেনান আনহুই নামে কোনো প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্বই নেই। অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠান দুটিকে উৎপাদনকারী হিসেবে দেখিয়ে মূলধনি যন্ত্রপাতির জন্য ঋণপত্র খোলা হয়েছে। কিন্তু আমদানি করা হয়েছে মদ, সিগারেট, টেলিভিশন ও অন্যান্য বাণিজ্যিক পণ্য। এর মধ্যে এগ্রো বিডি ছয়টি কনটেইনারের পণ্য মূল্য ঘোষণা করে ২৫ লাখ টাকা। কিন্তু জব্দ করা পণ্যের মূল্য প্রায় ৫৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। আর হেনান আনহুইয়ের জব্দ করা ছয়টি কনটেইনারে পণ্য মূল্য ঘোষণা দেয়া হয় ২৫ লাখ ৫০ হাজার ৪৩২ টাকা। এ ছয় কনটেইনারে আটক করা মদ, সিগারেট, এলইডি টেলিভিশনসহ অন্যান্য পণ্যের মূল্য প্রায় ৮২ কোটি ৬২ লাখ টাকা। দুটি প্রতিষ্ঠান সিঙ্গাপুরের জমরাজ ইন্ডাস্ট্রিজ থেকে পণ্য আমদানি করেছে। পণ্য খালাসের দায়িত্বে ছিল রাবেয়া অ্যান্ড সন্স নামে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট। দুটি প্রতিষ্ঠান পোলট্রি  ফিডের ক্যাপিটাল মেশিনারি ঘোষণা দিয়ে আইএফআইসি ব্যাংকের নয়া পল্টন শাখা থেকে এলসি খুলেছে। ১২টি কনটেইনার পণ্য আটকের পর ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর পল্টন থানায় একটি মামলা করা হয় (মামলা নং-৫০)।

অন্যদিকে এই ১২ কনটেইনার ছাড়াও এগ্রো বিডি আরও ৪৬ ও হেনান আনহুই ৩২ কনটেইনারসহ ৭৮ কনটেইনার পণ্য আমদানি করেছে। যেহেতু অস্তিত্বহীন দুটি প্রতিষ্ঠানের রপ্তানিকারক, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট, এলসি ওপেনিং ব্যাংক, শাখা ও ঘোষণা একই। সেহেতু এই দুটি প্রতিষ্ঠান আগের ৭৮ কনটেইনার পণ্য চালানেরও মদ, সিগারেট, এলইডি টেলিভিশনের মতো উচ্চ শুল্কের পণ্য আমদানি করেছে প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রমাণ পেয়েছে কাস্টমস গোয়েন্দা। প্রমাণ পাওয়ার পর ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর পল্টন থানায় এগ্রো বিডির বিরুদ্ধে নয়টি ও হেনান আনহুইয়ের বিরুদ্ধে ৬টিসহ মোট ১৫টি মামলা করা হয়। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ধারা-৪ অনুযায়ী এসব মামলা করা হয়; যা এখনও তদন্ত করা হচ্ছে।

সূত্র আরও জানায়, কাস্টমস গোয়েন্দা এই দুটি প্রতিষ্ঠানের তদন্ত করতে গিয়ে দেখতে পায়, রাজধানীর খিলগাঁও এলাকার হেব্রা বাঙ্কো, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা এলাকার চায়না বিডিএল একইভাবে জালিয়াতি করে পণ্য আমদানি করেছে। দুটি প্রতিষ্ঠানই অস্তিত্বহীন। এর মধ্যে হেব্রা বাঙ্কো সাতটি বিল অব এন্ট্রিতে ৩১ কনটেইনার ও চায়না বিডিএল সাত বিল অব এন্ট্রিতে ২৫ কনটেইনার পণ্য আমদানি করেছে। ঘোষণা দেয়া হয়েছে পোলট্রি ফিডের ক্যাপিটাল মেশিনারি। এগ্রো বিডি ও হেনান আনহুইয়ের মতো হেব্রা বাঙ্কো ও চায়না বিডিএলের সঙ্গে জড়িতরা ভুয়া নাম, ঠিকানা, ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র, বিন নাম্বার জালিয়াতি করে প্রতিষ্ঠান খুলে পণ্য আমদানি করেছে। হেব্রা সিঙ্গাপুরের জমরাজ থেকে পণ্য আমদানি করেছে। আইএফআইসি ব্যাংকের নয়াপল্টন শাখা থেকে এলসি খোলা হয়েছে। পণ্য খালাসের দায়িত্বে ছিল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রাবেয়া অ্যান্ড সন্স, অগ্রদূত শিপিং এজেন্সি, মঞ্জুর এন্টারপ্রাইজ। আর চায়না বিডিএল সিঙ্গাপুরের ইস্তাম্বুল ট্রেডিং থেকে পণ্য আমদানি করে। খালাসের দায়িত্বে ছিল নোবেল করপোরেশন, রহমান সারোয়ার প্রা. লিমিটেড। আইএফআইসির শান্তিনগর ও ফার্স্ট সিকিউরিটির দিলকুশা শাখা থেকে এলসি খোলা হয়। দুটি প্রতিষ্ঠান ৫৬ কনটেইনার পণ্য আমদানির মাধ্যমে একদিকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে। অন্যদিকে অর্থ পাচার করেছে। ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর হেব্রার বিরুদ্ধে ৭টি ও ১৯ নভেম্বর চায়না বিডিএলের বিরুদ্ধে সাতটিসহ মোট ১৪টি মামলা করা হয়। মানি লন্ডারিং আইনের ধারা-৪ অনুযায়ী মামলা করা হয়।

সূত্র আরও জানায়, এগ্রো বিডি ও হেনান আনহুইয়ের মালিক আব্দুল মোতালেব হলেও আমদানির ক্ষেত্রে জালিয়াতি করেছেন দিদারুল আলম টিটো। মোতালেবকে আটকের পর তিনি তা স্বীকার করেছেন। একইভাবে চায়না বিডিএল ও হেব্রা বাঙ্কোর মালিক বিল্লাহ হোসেন খানকে সুরুজ মিয়া সাজিয়ে দিদারুল আলম টিটো ও তার ভাই শহীদুল আলম জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংক হিসাব খুলে এলসি খুলেছেন। এগ্রো বিডি ও হেনান আনহুইয়ের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে করা মামলা কাস্টমস গোয়েন্দা, দুর্নীতি দমন কমিশন ও সিআইডি যৌথভাবে তদন্ত করে তদন্ত সংস্থার প্রধান দুদকে ইতোমধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। প্রতিবেদনে মূল পরিকল্পনাকারী ও অর্থের জোগানদাতা দিদারুল আলম, প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মোতালেব হোসেন, ব্যাংক হিসাব খোলার সময় মোতালেবকে খোরশেদ আলম হিসেবে শনাক্তকারী  শহিদুল আলম, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের স্বত্বাধিকারী জোলাল উদ্দিন, ব্যাংক কর্মকর্তা মোহাম্মদ মেহেদী হোসেনকে অভিযুক্ত করা হয়। মানি লন্ডারিং আইনের ধারা-৪ ও ৮ অনুযায়ী তাদের শাস্তির প্রস্তাব করে প্রতিবেদন দেয়া হয়।

কাস্টমস গোয়েন্দার চিঠিতে বলা হয়, পল্টন থানায় ২০১৭ সালের এই মামলার মতো পরবর্তী সময়ে সমজাতীয় ২৯টি মামলা করে কাস্টমস গোয়েন্দা। চায়না বিডিএলের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে দায়ের করা দুটি মামলা যৌথভাবে তদন্তের জন্য ইতোমধ্যে বিএফআইইউতে পাঠানো হয়েছে। বাকি ২৭টি মামলার অনুসন্ধানে কাস্টমস গোয়েন্দা জাল কাগজপত্র তৈরি করে পণ্য আমদানি ও দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা, ২০১৯-এর তফসিল তালিকা ১(ক) অনুযায়ী, দুর্নীতি ও ঘুষ সংশ্লিষ্ট অপরাধ দুদক এবং জালিয়াতি করে কাগজপত্র তৈরির অপরাধ সিআইডি তদন্ত করতে পারে। কিন্তু কাস্টমস গোয়েন্দা ধারা ৪ ও ৮ ধারার বাইরে তদন্ত করতে পারে না। এর মধ্যে ধারা-৪-এর সর্বোচ্চ শাস্তি ৪ বছর থেকে ১২ বছর কারাদণ্ড, ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং ধারা-৮-এর সর্বোচ্চ শাস্তি ৩ বছর কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা। আর ৪১৯, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১, ৪৭২ সর্বোচ্চ শাস্তি ৩ বছর থেকে শুরু করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। ২৭টি মামলায় জালিয়াতি ও দুর্নীতির সুস্পষ্ট প্রমাণ পেলেও মানি লন্ডারিং আইন ও বিধিমালার এসব ধারায় তদন্তের এখতিয়ার না থাকায় কাস্টমস গোয়েন্দা এসব মামলায় অভিযোগপত্রে শাস্তির প্রস্তাব করতে পারবে না। অভিযোগপত্র দেয়া হলে মামলা দুর্বল হয়ে যাবে, জড়িতরা সর্বোচ্চ শাস্তি পাবে না। সে জন্য ২৭টি মামলা যৌথভাবে তদন্ত করার বিষয়ে এনবিআরের দিকনির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে এনবিআরের একজন কর্মকর্তা শেয়ার বিজকে বলেন, আইন ও বিধিমালার সীমাবদ্ধতার বিষয়টি নিয়ে আমরা আলোচনা করব। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গেও আলোচনা করা হবে। আইন সংশোধনের প্রস্তাব দেয়ার বিষয়টিও আমরা বিবেচনা করছি।