নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২২) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোম্পানি ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) আগের বছরের তুলনায় ২৯ শতাংশ কমেছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রকাশিত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা গেছে, চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২২) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ৮৪ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৬ টাকা ৮৫ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে ২ টাকা এক পয়সা বা ২৯ শতাংশ। অন্যদিকে প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২২) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯ টাকা ৮৫ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১১ টাকা ৮৪ পয়সা। অর্থাৎ প্রথমার্ধের হিসাবে শেয়ারপ্রতি আয় এক টাকা ৯৯ পয়সা কমেছে। এছাড়া ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বরে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৯ টাকা ২৩ পয়সা, যা ২০২২ সালের ৩০ জুনে ছিল ৫৬ টাকা ৩৮ পয়সা। প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৯ টাকা ৫৯ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে ছিল ৯ টাকা ২২ পয়সা (ঘাটতি)।
কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৭০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৭ টাকা ২১ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২২ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৫৬ টাকা ৩৮ পয়সা। এর আগের বছর অর্থাৎ ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরেও বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৭০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয় ১৮ টাকা ৮০ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২১ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছিল ৫৬ টাকা ১৮ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছিল ২৭ টাকা ১৭ পয়সা।
২০১৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরির অধীন লেনদেন করছে ইউনাইটেড পাওয়ার। এক হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৫৭৯ কোটি ৬৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ দুই হাজার ৪৮৪ কোটি ২৬ লাখ টাকা। কোম্পানিটির ৫৭ কোটি ৯৬ লাখ ৯৫ হাজার ২৭০টি শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৯০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ, বিদেশি শূন্য দশমিক শূন্য ২ শতাংশ এবং ২ দশমিক ৬৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।