প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

দ্বিতীয় প্রান্তিকে স্কয়ার ফার্মার ইপিএস বেড়েছে ৫৪ পয়সা

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২২) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। আর এ প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ৫৪ পয়সা বেড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৫ টাকা ৭৮ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৫ টাকা ২৪ পয়সা। অর্থাৎ, আগের বছরের তুলনায় ইপিএস বেড়েছে ৫৪ পয়সা। আর প্রথম দুই প্রান্তিক বা ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২২) ইপিএস হয়েছে ১১ টাকা ৯৯ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১০ টাকা ৮৮ পয়সা। এছাড়া ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১১৮ টাকা ৫৩ পয়সা, যা ২০২২ সালের ৩০ জুনে ছিল ১১৬ টাকা ৭০ পয়সা।

 আর প্রথম দুই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে ৮ টাকা ৮২ পয়সা; অথচ আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১০ টাকা ৮৯ পয়সা।

২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস। আলোচিত এ হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ২০ টাকা ৫১ পয়সা। ৩০ জুন ২০২২ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১১৬ টাকা ৭০ পয়সা। আর শেয়ার প্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে ১৪ টাকা ৫২ পয়সা। এর আগে ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ৬০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেযারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৭ টাকা ৯৯ পয়সা। আর ৩০ জুন ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১০২ টাকা ৫৪ পয়সা। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির মুনাফা হয়েছে এক হাজার ৫৯৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।

কোম্পানিটি ১৯৯৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন হচ্ছে। এক হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৮৮৬ কোটি ৪৫ লাখ ১০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৯ হাজার ২৫৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৮৮ কোটি ৬৪ লাখ ৫১ হাজার ১০টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৩৪ দশমিক ৬৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারী ১৩ দশমিক ৬২ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।