প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

 ‘ধামাধরা’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছেন: খন্দকার মোশাররফ

নিজস্ব প্রতিবেদক:বিদেশিদের কাছে ধরনা দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছেন বলে মন্তব্য করেন বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন। গতকাল সিলেট জেলা বিএনপি নবনির্বাচিত নেতাদের নিয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে তাঁবেদারি করছেন। এমনকি এমন জায়গায় তিনি নিজেকে নামিয়েছেন যে, যখন তার কোনো জায়গা ছিল না, যখন খাবার ছিল না, যখন কোনো আশ্রয় ছিল না, তখন আমেরিকা নাকি তাকে আশ্রয় দিয়েছে। এরকম একজন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ধামাধরা পররাষ্ট্রমন্ত্রী; তিনি আমেরিকা গিয়ে অনুরোধ করে ধরনা দিয়ে এ বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে নষ্ট করেছেন।

কেবল জনগণের কাছ থেকে নির্দেশনা এলেই বিএনপি নির্বাচনে যাবে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা মনে করি, নির্বাচন হবে বাংলাদেশে। বিএনপি নির্বাচনে যাবে কি যাবে না, সেটার পরামর্শ দেবে জনগণ, অন্য কেউ নয়। জনগণ যেদিন পরামর্শ দেবে, জনগণের যেদিন আস্থা হবে যে এদেশে সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে, জনগণ নিজের হাতে ভোট দিতে পারবে, মেশিনের মাধ্যমে নয়Ñসেদিন জনগণ বলবে, ‘আপনারা (বিএনপি) নির্বাচনে যান।’ অবশ্যই জনগণের দল হিসেবে তখন বিএনপি নির্বাচনে যাবে। কোনো বিদেশির পরামর্শে নয়।

যুক্তরাষ্ট্রে সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের বক্তব্যের সমালোচনা করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, আমাদের দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে অনুরোধ করে বলে যে, তারা যেন বলে আমাদের নির্বাচনে যাওয়ার জন্য। এটা তো অন্য কেউ বলার বিষয় নয়। আমরা মনে করি, এই দেশের মানুষ যেদিন বলবেন, হ্যাঁ তারা ভোট দিতে পারবে, তাদের আস্থা ফিরে এসেছে, সেদিন বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।

আর এ সরকারের অধীনে পরিষ্কার যে, কখনও সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না। অতএব সমাধান আমেরিকা গিয়ে অনুরোধ করা নয়, আমেরিকার কাছে ধরনা দেয়া নয়। সমাধান হচ্ছে, এই স্বৈরাচারী ফ্যাসিবাদী সরকারকে অনতিবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। এরপর নির্র্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন হতে হবে।

সরকার দুর্বল হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমেরিকা গিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ধরনা দেয়া, এতে করে প্রমাণিত সরকার কী পরিমাণ দুর্বল হয়ে পড়েছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। দেশে জনগণের আস্থা নেই। তারপরে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ আজকে ধিক্কৃত, কেননা বাংলাদেশে মানবাধিকার নেই। সেজন্য র‌্যাবসহ বিভিন্ন কর্মকর্তাদের ওপরে নিষেধাজ্ঞা দেয় আমেরিকা। এখানে সংশোধনের চেষ্টা না করে ওই পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমেরিকা গিয়ে তাঁবেদারি করছেন।

গত ২৯ মার্চ সিলেট জেলা বিএনপির কাউন্সিলে আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী সভাপতি, ইমরান আহমদ চৌধুরী সাধারণ সম্পাদক ও শামীম আহমেদ সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন।