শেয়ার বিজ ডেস্ক: শেরপুরের নকলা উপজেলায় আলুর বাম্পার ফলনের আশা করা হচ্ছে। কৃষকরা জমিতে রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। কৃষকের পাশাপাশি বসে নেই বিএডিসির কর্মকর্তারাও। তারাও মাঠ পরিদর্শন ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। খবর বাসস।
কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, উপজেলার পাঁচ-সাতটি গ্রাম নিয়ে একটি ব্লক। প্রতি ব্লকে এবার আলু উৎপাদনের জন্য তালিকাভুক্ত চাষি নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০০ একর জমি লক্ষ্যমাত্রা ধরে। নভেম্বরের ১৫ থেকে ২৫ তারিখ পর্যন্ত বীজ আলু রোপণ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে। অধিক ফলন পাওয়ার আশায় কৃষকও পোকামাকড় দমনসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। বিএডিসি আলু হিমাগার নকলা, শেরপুর জুনের আওতাভূক্ত ২৪টি ব্লকের ৩০০ একর জমি নভেম্বর ১৫ থেকে ২৫ তারিখের মধ্যে রোপণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এবার ফসলের মাঠে পোকামাকড় ও রোগবালাই আক্রমণও কম হয়েছে। উপজেলায় তিন হাজার মেট্রিক টন হিসেবে ১৯ হাজার মেট্রিক টন আলু উৎপাদিত হবে, যা বিক্রি করে কৃষক পাবেন পাঁচ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
বিএডিসি আলু হিমাগার নকলার উপসহকারী পরিচালক মিজানুর রহমান, সহকারী পরিচালক কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম ৩০০ একর জমি পরিদর্শনের মাধ্যমে গুণগত মান সম্পূর্ণ আলু উৎপাদনের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী রবিশস্য আবাদে কৃষকরা যেন অধিক লাভবান হতে পারে তার জন্য ২৫ কোটি ব্যয়ে নকলা পাঠাকাটা গ্রামে আলু হিমাগার তৈরি করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।