নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২২) আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সদ্য পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে আজ থেকে লেনদেন শুরু করতে যাওয়া নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। ঢাকা স্টক একচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২২) নাভানা ফার্মার কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা, আগের হিসাববছরের একই সময়ে যা ছিল ৩ কোটি ৮৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এ সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৮৫ পয়সা, আগের হিসাববছরের একই সময়ে যা ছিল ৪৮ পয়সা। আইপিও শেয়ার বিবেচনায় নিলে ইপিএস দাঁড়াবে ৬৩ পয়সা। ৩১ মার্চে নাভানা ফার্মার শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৩ টাকা ৫৩ পয়সা (আইপিও-পূর্ব পরিশোধিত শেয়ারের ভিত্তিতে), আইপিও শেয়ার বিবেচনায় নিলে যা দাঁড়াবে ৩৯ টাকা ৫০ পয়সা। ৩১ মার্চ শেষে কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ছিল ৮ কোটি ২ লাখ ৩০ হাজার ১৫০। এর সঙ্গে আইপিও শেয়ার যোগ হলে মোট শেয়ার সংখ্যা দাঁড়াবে ৭ কোটি ১০ কোটি ৭৪ লাখ ১৬ হাজার ২১৭। আর চলতি হিসাববছরের প্রথম তিন প্রান্তিক বা ৯ মাসে (জুলাই, ২০২১-মার্চ, ২০২২) নাভানা ফার্মার কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ১৯ কোটি ১৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা, আগের হিসাববছরের একই সময়ে যা ছিল ১৩ কোটি ২৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা। এ হিসাবে প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির নিট মুনাফা বেড়েছে ৫ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। আলোচ্য সময়ে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৩৮ পয়সা, আগের হিসাববছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৬৫ পয়সা। আইপিও শেয়ার বিবেচনায় নিলে প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস দাঁড়াবে ১ টাকা ৭৯ পয়সা।
এদিকে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের পর ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই-সিএসই) আজ থেকে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হবে। ‘এন’ ক্যাটেগরিভুক্ত নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালসের ডিএসইতে ট্রেডিং কোড হলো ‘ঘঅঠঅঘঅচঐঅজ’ এবং কোম্পানি কোড হলো ১৮৪৯৭।
কোম্পানিটির আইপিওতে বরাদ্দ দেয়া শেয়ার গত রোববার বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাবে জমা হয়েছে। এর আগে কোম্পানিটির আইপিওতে ১৩ থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করা হয়। গত ৮ জুন বিএসইসির ৮২৬তম কমিশনের সভায় নাভানা ফার্মার বিডিং করার অনুমোদন দেয়া হয়। নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালসের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৭৫ কোটি টাকা বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (পাবলিক ইস্যু) রুলস, ২০১৫ অনুযায়ী আইপিওর মাধ্যমে উত্তোলন করার প্রস্তাব অনুমোদনের সিদ্ধান্ত হয়। এই অর্থ উত্তোলন করে কোম্পানি নতুন ভবন নির্মাণ, নতুন ইউটিলিটি এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ভবন নির্মাণ, সেফালোস্পোরিন ইউনিটের সংস্কার, আংশিক ঋণ পরিশোধ এবং ইস্যু ব্যবস্থাপনায় ব্যয় করবে।