নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তনের পাশাপাশি অনুমোদিত মূলধন বাড়াবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি এমবি ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। সম্প্রতি কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এছাড়া ওই সভায় ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, এমবি ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ প্রতিষ্ঠানটির নাম পরিবর্তন করে ‘এমবি ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি’ রাখবে। একইসঙ্গে ব্যাংকটির অনুমোদিত মূলধন ২৭ কোটি ৫০ লাখ কোটি টাকা বাড়িয়ে ৩০ কোটি টাকা করতে চায়। বর্তমানে তাদের অনুমোদিত মূলধন আড়াই কোটি টাকা। আর এই পরিবর্তনের জন্য কোম্পানিটির মেমোরেন্ডাম ও আর্টিকেল অব অ্যাসোসিয়েশনে পরিবর্তন আনতে হবে।
কোম্পানিটি ৩০ জুন ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ নগদ ও ২০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৩৬ পয়সা এবং ৩০ জুনে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৯৬ পয়সা। আর আলোচিত হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৩০ টাকা ৪৯ পয়সা (ঘাটতি)। এজন্য শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন নিতে আগামী ৩১ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে বিশেষ সাধারণ সভার (ইজিএম) আহ্বান করেছে। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট পরে জানানো হবে।
এর আগের বছর অর্থাৎ কোম্পানিটি ৩০ জুন ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ৪২ পয়সা (লোকসান) এবং ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ৬৮ পয়সা। আর আলোচিত হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২ টাকা ৭৭
পয়সা (ঘাটতি)।
এদিকে কোম্পানিটি চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের জন্য আগামী ২৭ নভেম্বর বেলা ৩টায় পর্ষদ সভার ঘোষণা দিয়েছে।
কোম্পানিটি ১৯৮৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। দুই কোটি ৫০ লাখ টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন দুই কোটি ৪০ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২ কোটি ৮ লাখ টাকা। কোম্পানিটির ২৪ লাখ শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৭৭ দশমিক ২৫ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩ দশমিক ১৬ শতাংশ শেয়ার ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ১৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ শেয়ার।