প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

নিউজিল্যান্ডে বন্যার কারণে জরুরি অবস্থা ঘোষণা

শেয়ার বিজ ডেস্ক: নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে বড় শহর অকল্যান্ডে টানা বৃষ্টিপাতের পর বন্যা দেখা দেয়ায় শহরটিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। বন্যার কারণে এখন পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। একজন নিখোঁজ।  খবর: বিবিসি।

অনলাইন ফুটেজে দেখা গেছে, কোমরসমান বন্যার পানিতে আটকে পড়েছে মানুষ। ছোট নৌকায় করে উদ্ধারকারীরা লোকজনকে উদ্ধার করে নিরাপদে সরিয়ে নিচ্ছেন। আরও কিছু ছবিতে দেখা গেছে, বেশ কয়েকটি সুপারমার্কেটের করিডর বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। সেখানে মুদিদোকানের বিভিন্ন পণ্য ভাসছে।

বন্যার কারণে অকল্যান্ড বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। অন্তত শনিবার দুপুর পর্যন্ত ওই বিমানবন্দরে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল বন্ধ থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোও পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে মহাসড়কগুলোয় যানবাহনের দীর্ঘ সারি তৈরি হচ্ছে। বেশ কয়েকটি সড়কে দুর্ঘটনার খবরও পাওয়া গেছে।

গত শুক্রবার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে স্থানীয় প্রশাসন। এদিন অকল্যান্ডে মাত্র ১৫ ঘণ্টায় যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে, তা গ্রীষ্মকালীন স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের চেয়ে ৭৫ শতাংশ বেশি। জরুরি অবস্থা ঘোষণায় দেরি করা নিয়ে অকল্যান্ডের মেয়র ওয়েন ব্রাউন ব্যাপক সমালোচনায় পড়েছেন। তবে তার দাবি, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে তিনি ব্যবস্থা নিয়েছেন।

মেয়র ওয়েন ব্রাউন বলেছেন, নর্থ শোর এলাকার ওয়াইরাউ ভ্যালি থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। তবে ওই ব্যক্তিসহ অন্যদের মৃত্যু বন্যার কারণে হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করেনি পুলিশ।

নিউজিল্যান্ডের প্রতিরক্ষা বাহিনী উদ্ধার তৎপরতা পরিচালনা এবং জরুরি আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপনে সহযোগিতা করছে।

গ্রিন পার্টির পার্লামেন্ট সদস্য রিকার্ডো মেনেন্ডেজ মার্চ জানিয়েছেন, তার এলাকা দ্রুত বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এ কারণে তাকে সেখান থেকে সরতে হয়েছে। তবে কাছাকাছি এলাকায় বসবাসকারী এক বন্ধু তাকে আশ্রয় দিয়েছেন।

নিউজিল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী ক্রিস হিপকিন্স এক টুইটার পোস্টে বলেছেন, বিহিভ বাংকার (ওয়েলিংটনের পার্লামেন্ট ভবন) জরুরি উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনায় সহযোগিতা করছে।

নিউজিল্যান্ডের জলবায়ুবিষয়ক কর্তৃপক্ষ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার অ্যান্ড অ্যাটমোসফেরিক রিসার্স (এনআইডব্লিউএ) বলেছে, আগামী পাঁচ দিন শহরের বিভিন্ন এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতের আভাস দেয়া হয়েছে।