মাস্কের ব্যবহার এবং কভিড-১৯ সম্পর্কে অনেক ভুল তথ্য প্রচার হচ্ছে। সুতরাং পরিবারের স্বাস্থ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার
সময় ইউনিসেফ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং আপনার জাতীয় এবং স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতো নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে পাওয়া তথ্যের ব্যবহার নিশ্চিত করুন।
কখন মাস্ক পরা উচিত নয়: নবজাতক ও ছোট শিশু বা শ্বাসকষ্ট রয়েছে, এমন যে কোনো মানুষসহ যারা অন্যের সহায়তা ছাড়া মাস্ক খুলতে অক্ষম; তাদের মাস্ক পরা উচিত নয়। ইউনিসেফ এবং ডব্লিউএইচওর পরামর্শ হচ্ছে, ৫ বছরে বা তার কম বয়সের শিশুদের মাস্ক পরার দরকার নেই। এটি শিশু সুরক্ষার ওপর নির্ভর করে এবং এটা স্বীকৃত যে, শিশুরা বিভিন্ন বয়সে বিকাশের বিভিন্ন পর্যায়ে থাকে। কিছু দেশে শিশুদের মাস্ক ব্যবহার সম্পর্কে ভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। তাই আপনার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বয়সভিত্তিক কোনো নির্দেশনা দিয়েছে কি না, তা জানা গুরুত্বপূর্ণ। যদি তারা ৫ বছর বা তার চেয়ে কম বয়সী শিশুদের মাস্ক পরানোর নির্দেশনা দেয়, তবে মাস্কের নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য শিশুকে আপনার বা অন্য কোনো সেবাদানকারীর চোখের সামনে রেখে সরাসরি তত্ত্বাবধান করা উচিত। আপনার বা পরিবারের কোনো সদস্যের যদি কোনো স্বাস্থ্যগত সমস্যা থাকে বা এমন কোনো অক্ষমতা থাকে যার কারণে মাস্ক ব্যবহার করা কঠিন হয়ে ওঠে, সেক্ষেত্রে আপনার জন্য কী করা সবচেয়ে ভালো হবে সে বিষয়ে আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
শরীরচর্চার সময় এমন স্থান বাছাই করুন, যেখানে মাস্ক পরার প্রয়োজন হয় না। এক্ষেত্রে ঘর বা এমন কোনো স্থান (যেমন বাইরে কোথাও) বাছাই করতে পারেন, যেখানে আপনি অন্যদের থেকে নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে পারেন। শিশু এবং বয়স্কদের খেলাধুলা বা শারীরিক কার্যকলাপের সময় মাস্ক পরা উচিত নয়, যাতে এটি তাদের শ্বাসপ্রশ্বাসে কোনো ধরনের সমস্যা তৈরি করতে না পারে। ঘাম মাস্ককে ভিজিয়ে ফেলতে পারে, যা নিঃশ্বাস নিতে অসুবিধা তৈরি করবে এবং জীবাণুর বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
শিশুদের জন্য মাস্ক বাছাইকালে কী দেখা উচিত: অনেক মাস্ক বড়দের জন্য বানানো এবং এগুলো সঠিকভাবে শিশুদের মুখে লাগে না। আপনি যদি মাস্ক কেনেন তবে এমন মাস্ক কিনুন, যা আপনার শিশুর জন্য যথাযথ আকৃতি অনুসারে বানানো হয়েছে। আপনি আপনার শিশুদের জন্য মাস্ক কিনে আনেন বা নিজে বানিয়ে দেন, উভয় ক্ষেত্রেই লক্ষ রাখুন যাতে মাস্ক শিশুর মুখ, নাক ও থুতনি ভালোভাবে ঢেকে রাখে এবং গালের পাশে কোনো ফাঁকা জায়গা না থাকে বা তাদের চোখ ঢেকে না যায়। শিশুরা মাস্ক পরে দ্রুততার সঙ্গে হাঁটা বা কথা বলার সময় যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে নিঃশ্বাস নিতে পারে, তা নিশ্চিত করুন।
ইউনিসেফের তথ্য অবলম্বনে