শেয়ার বিজ ডেস্ক: বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারের বিরুদ্ধে ফের রাজপথে নেমেছেন ইসরাইলের লাখ লাখ মানুষ। নেতানিয়াহুর জোট সরকারের নেয়া বিচার ব্যবস্থা সংশোধনের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে তেল আবিবের রাজপথে নেমেছেন তারা। খবর: আল জাজিরা।
পুলিশের বরাত দিয়ে ইসরাইলের গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, গত শনিবারের বিক্ষোভে এক লাখের বেশি মানুষ যোগ দেন। জনসাধারণের অভিযোগ, সংশোধনের পরিকল্পনা দেশটির সুপ্রিম কোর্টকে দুর্বল করার একটি চক্রান্ত।
গত সপ্তাহে ইসরাইলে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ব্যাপক আকারে বিক্ষোভ হয়। তাদের দমাতে আন্দোলনকারীদের ওপর চড়াও হয় নিরাপত্তা বাহিনী। বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়ছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে। টানা তিন সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভ চলছে। গত ১৪ জানুয়ারির বিক্ষোভে অংশ নেন ৮০ হাজারের বেশি মানুষ। সেদিনও বিচার বিভাগে নতুন করে সংস্কারের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান তারা। নেতানিয়াহুর ডানপন্থি জোট সরকারের প্রস্তাবিত পরিকল্পনাকে গণতান্ত্রিক শাসনের ওপর আঘাত বলছেন আন্দোলনকারীরা। সমালোচকরা বলছেন, নেতানিয়াহুর জোট সরকারের এমন সংস্কার বিচারিক স্বাধীনতাকে আরও পঙ্গু করে দেবে। সেই সঙ্গে দুর্নীতিকে উৎসাহিত করবে।
কট্টর ডানপন্থি সরকারের নেয়া পরিকল্পনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোও। পরিবর্তনগুলো গণতন্ত্রকে হুমকিতে ফেলবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।
ইসরাইলি বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান আভি চিমি জানান, তারা আমাদের একনায়কতন্ত্রে পরিণত করতে চায়, গণতন্ত্র ধ্বংস করতে চায়।
সম্প্রতি ইসরাইলের বিচার ব্যবস্থায় সংশোধন উšে§াচন করেছেন ইসরাইলি বিচারমন্ত্রী ইয়ারভি লেভিন। কিন্তু এমন পরিকল্পনাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আন্দোলনকারীরা বলছেন, সুপ্রিম কোর্টকে দুর্বল করার লক্ষ্যেই এমন পদক্ষেপ নেতানিয়াহুর সরকারের। গত ডিসেম্বরে নেতানিয়াহুর নতুন জোট সরকার শপথ নেয়ার পর ইসরাইলে একের পর এক বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছে। দেশটির বিরোধী দলগুলো গণতন্ত্র বাঁচাতে ও পরিকল্পিত বিচারিক সংস্কারের প্রতিবাদে ইসরাইলিদের সমাবেশে যোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
তৃতীয় সপ্তাহে গড়ানো আন্দোলনের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। গত ডিসেম্বরে নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে ৭৩ বছর বয়সী নেতানিয়াহু ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আবার শপথ নেন। এর আগে ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৯ এবং ২০০৯ থেকে ২০২১ পর্যন্ত ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। এরই মধ্যে তিনি ইসরাইলের ইতিহাসে অন্য যে কারও চেয়ে বেশি সময় ধরে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের ইতিহাস গড়েছেন।