নিজস্ব প্রতিবেদক: নৌ-যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে ৩৬ কোটি ডলার অর্থ সহায়তা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। এ অর্থ দিয়ে ঢাকা-আশুগঞ্জ-চট্টগ্রাম নৌ-করিডোর সংস্কার করা হবে। বিশ্বব্যাংকের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (আইডিএ) সহজ শর্তে এ ঋণ দেবে। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে একটি ঋণচুক্তি সই হয়েছে।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে গতকাল এ চুক্তি সই হয়। সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহউদ্দিন এবং বিশ্বব্যাংকের পক্ষে সংস্থাটির কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফান চুক্তিতে সই করেন।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ঢাকা-আশুগঞ্জ-চট্টগ্রাম নৌ-করিডোর বাংলাদেশের প্রধান অভ্যন্তরীণ নৌ-বাণিজ্যিক রুট, যা আঞ্চলিক বাণিজ্য সম্প্রসারণেও গুরুত্বপূর্ণ। ৩০০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে এ রুটে বরিশালসহ অন্যান্য রুটের সংযোগ রয়েছে। দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ অভ্যন্তরীণ যান এ করিডোরের মধ্য দিয়ে চলাচল করে এবং দৈনিক প্রায় দুই লাখ যাত্রী এসব জলপথ ব্যবহার করে। এ পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা-আশুগঞ্জ-চট্টগ্রাম নৌ-রুটের বছরব্যাপী নাব্য নিশ্চিতকরণ, করিডোরের উন্নয়ন এবং বিআইডব্লিউটিএর প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ রিজিওনাল ওয়াটারওয়ে ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্ট-১ শীর্ষক প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
প্রকল্পটির মাধ্যমে প্রস্তাবিত নৌপথের নাব্য রক্ষার্থে পারফরম্যান্স বেইসড ড্রেজিং করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে বিশ্বব্যাংক সহজ শর্তে ৩৬ কোটি ডলারের ঋণ দেবে। এর মধ্যে আইডিএ রিজিওনাল ফান্ড থেকে পাওয়া যাবে ১৯ কোটি ডলার।
প্রকল্পের জন্য আইডিএ অর্থায়নের ঋণ ছয় বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩৮ বছরে পরিশোধ করতে হবে। এ ঋণের উত্তোলিত অর্থের ওপর বার্ষিক শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ এবং অনুত্তোলিত অর্থের ওপর শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ হারে কমিটমেন্ট চার্জ দিতে হবে। তবে আইডিএর নির্বাহী পরিচালকরা প্রতিবছরে সম্পূর্ণ অথবা আংশিক কমিটমেন্ট ফি মওকুফের বিষয় নির্ধারিত হয়। চলতি অর্থবছরসহ দীর্ঘদিন ধরে কমিটমেন্ট ফি মওকুফ রয়েছে।