প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

পাটপণ্যের ব্যবহার কমছে সৈয়দপুরে

 

সৈয়দপুর প্রতিনিধি: নীলফামারীর সৈয়দপুরে পাটজাত পণ্যের ব্যবহার দিন দিন কমে যাচ্ছে। পলিথিন বা অপচনশীল পণ্যে তৈরি বস্তা ব্যবহারে সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সৈয়দপুরে তা কার্যকর হচ্ছে না। ফলে জরিমানা করেও থামানো যাচ্ছে না পলিথিনের অবাধ ব্যবহার, যা পরিবেশে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।

সৈয়দপুরে চাল, গম, ভুসি, চিনি, আটা, ময়দা, সুজি, ডাল, রসুন প্রভৃতি পণ্য মোড়কজাতে পলিথিনের বস্তা ব্যবহার করা হচ্ছে। পলিথিনের চটকদার এসব বস্তায় মালামাল পরিবহন করা হচ্ছে। শহরের বেশ কয়েকটি স্থানে পলিথিনের ব্যাগ ও বস্তা তৈরি হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। পাটপণ্যের চাহিদা কমে যাওয়ায় গ্রামবাংলার ঐতিহ্য পাটের কদরও কমে যাচ্ছে। অথচ পাট ও পাটজাত দ্রব্য থেকে উৎপাদিত পণ্য যেমন বস্তা, থলে, পাপোশ, ঝুড়ি, রশি প্রভৃতি নীলফামারীর সৈয়দপুরের প্রতিটি বাড়িতে পণ্যসামগ্রী পাওয়া যেত। গৃহস্থালি কাজে পাটের রশির ব্যবহার ছিল নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার।

উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের বয়োজ্যেষ্ঠ তফিল উদ্দিন বলেন, বাজার করার প্রয়োজনে আগে পাটের তৈরির ব্যাগ পাওয়া যেত, এখন আর নেই। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে প্রকাশ্যে মিলছে পলিথিনের ব্যাগ। ধান-চাল মজুদের প্রয়োজনেও পাটের তৈরি বস্তা ব্যবহার করতাম। এখন প্লাস্টিকের ব্যবহারের ফলে সেসব হারিয়ে গেছে। এ কারণে সোনালি আঁশ পাটের কদরও কমছে। কৃষক তোফাজ্জল হোসেন জানান, আগে পাটের ভালো দাম থাকায় বেশিরভাগ জমিতেই পাট চাষ করতেন। এখন পাট চাষে ব্যয়ের তুলনায় আয় কম। যেটুকু আবাদ করা হয়, তা শুধু জ্বালানির জন্য।

এদিকে বাণিজ্যিক সৈয়দপুর শহরে কয়েক দফা ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে জরিমানা করলেও ব্যবসায়ীরা পাটপণ্য ব্যবহারে উৎসাহিত হচ্ছেন না। পাটপণ্যের ব্যাগ, বস্তা বাজারে সচরাচর মেলে না বলে ব্যবসায়ীরা এসব ব্যবহার করতে বাধ্য হন বলে জানান।