প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

পাট খাতের শেয়ারে আগ্রহ বেড়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস গতকাল পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে দেশের পুঁজিবাজারে। এদিন পুঁজিবাজারের সব সূচক কমেছে। তবে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। এছাড়া গতকাল ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটদর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতনেও বিনিয়োগকারীদের চাহিদার শীর্ষে ছিল পাট খাতের শেয়ার। ফলে আলোচিত খাতটিতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। এর আগের কার্যদিবস খাতটিতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছিল। এরপর দর বৃদ্ধির দিক থেকে গতকাল দ্বিতীয় স্থানে ছিল সিরামিক খাত। গতকাল শেয়ারদর বৃদ্ধির দিক থেকে তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে যথাক্রমে ছিল ট্যানারি ও প্রকৌশল খাত।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল আগ্রহ বেশি থাকা পাট খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ৩ দশমিক ১০ শতাংশ। এদিন খাতটিত মোট তিনটি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া সব শেয়ারের দাম বেড়েছে। এরপর দ্বিতীয় স্থানে থাকা সিরামিক খাতে গতকাল দর বেড়েছে ১ দশমকি ৬০ শতাংশ। খাতটিতে গতকাল মোট পাঁচটি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দুটির শেয়ারদর বেড়েছে এবং বাকি কোম্পানির শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল।

দর বৃদ্ধির দিক থেকে তৃতীয় স্থানে থাকা ট্যানারি খাতে দশমিক ৫০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। আলোচ্য খাতে গতকাল ছয়টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে একটির দর বেড়েছে এবং একটির দর কমেছে। দশমিক ১০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়ে গতকাল চতুর্থ স্থানে ছিল প্রকৌশল খাত। এছাড়া গতকাল জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, ব্যাংক, টেলিকমিউনিকেশন, মিউচুয়াল ফান্ড, আর্থিক, সিমেন্ট, সাধারণ বিমা, বিবিধ এবং বস্ত্র খাতে শেয়ারদর বৃদ্ধির বা কমার কোনো পরিবর্তন হয়নি।

এদিকে গতকাল বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কম থাকায় আইটি খাতে শেয়ারদর কমেছে। খাতটিতে গতকাল শেয়ারদর কমেছে ১ দশমিক ৬০ শতাংশ। খাতটিতে গতকাল মোট ১১টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দুটি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে এবং সাতটি কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। গতকাল ১ দশমিক ১০ শতাংশ শেয়ারদর কমে এর পরে ছিল ভ্রমণ ও অবকাশ খাত। গতকাল শেয়ারদর কমায় তৃতীয় স্থানে থাকা কাগজ ও মুদ্রণ খাতে দর কমেছে এক শতাংশ। 

অপরদিকে লেনদেনের দিক থেকে সবচেয় বেশি লেনদেন হয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাতে। খাতটিতে গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ২০ দশমিক ৯০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। এরপর দ্বিতীয় স্থানে থাকা সিরামিক খাতে গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৩ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ১২ দশমিক ৮০ শতাংশ লেনদেন হওয়া জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাত রয়েছে তৃতীয় স্থানে। গতকাল চতুর্থ স্থানে থাকা প্রকৌশল খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১০ দশমিক ১০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬ দশমিক ৬২ পয়েন্ট বা  দশমিক ১০ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ২৩৮ দশমিক ৯৯ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ্ সূচক ২ দশমিক ১৩ পয়েন্ট বা  দশমিক ১৫ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট বা  দশমিক ১০ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৩৬৬ দশমিক ৮২ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ২০১ দশমিক ৭৮ পয়েন্টে।

ডিএসইতে গতকাল ৪৫৬ কোটি ৯৬ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, যা আগের কার্যদিবস থেকে ১১৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকা বেশি। আগের কার্যদিবস লেনদেন হয়েছিল ৩৪০ কোটি ৪৮ লাখ টাকার। গতকাল ডিএসইতে ৩২৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ারদর বেড়েছে ৩০টির বা ৯ দশমিক ২৩ শতাংশের, শেয়ারদর কমেছে ৫৪টির বা ১৬ দশমিক ৬২ শতাংশের এবং ২৪১টির বা ৭৪ দশমিক ১৫ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিটদর অপরিবর্তিত ছিল।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪৮ দশমিক ৭৬ পয়েন্ট বা  দশমিক ২৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৩৯৭ দশমিক ২৮ পয়েন্টে। সিএসইতে গতকাল ১৪৩টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৮টির দর বেড়েছে, কমেছে ৪৬টির আর ৭৯টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। গতকাল সিএসইতে ৭ কোটি ১৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।