তথ্যপ্রযুক্তি খাতে উচ্চ মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন স্কিমের নামে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বিনিয়োগ সংগ্রহ করার প্রবণতা বাড়ছে। অনুসন্ধানে এ খাতের গোটা বিশেক প্রতিষ্ঠানের অননুমোদিত আর্থিক লেনদেন পরিচালনার তথ্য পাওয়া গেছে। এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ড সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের বড় ধরনের ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে। দ্রুত এসব প্রতিষ্ঠানকে কাঠামোর মধ্যে না আনলে অতীতে ই-কমার্স খাতের প্রতারণার মতো আবারও দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হতে পারে গ্রাহকদের। এ ধরনের অননুমোদিত ‘বিজনেস মডেল’ নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করছে শেয়ার বিজ। আজ প্রকাশিত হলো প্রথম পর্ব
মনিরুল হক : ‘হালাল বিনিয়োগ’-এর কথা বলে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে নিজের প্রতিষ্ঠানে খাটাচ্ছে তথ্য-প্রযুক্তি (আইটি) খাতের বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান। মোবাইল অ্যাপ, ওয়েবসাইটে বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উচ্চ মুনাফার চোখ ধাঁধানো বিজ্ঞাপনে প্রভাবিত হয়ে অনেকেই এ ধরনের প্রকল্পে বিনিয়োগ করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই প্রতিষ্ঠানগুলো কোনোটিরই নেই সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহের অনুমোদন। হালাল বিনিয়োগ মডেলের ধারণার কথা বলে তারা বিভিন্ন স্কিমের আওতায় টাকা তুলছে। বাড়তি মুনাফার আশায় সরল বিশ্বাসে অনেকেই সেখানে টাকা খাটাচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানগুলো বিনিয়োগকারীদের অর্থ সুরক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রে নিজেরা দায়বদ্ধ বলেই চালিয়ে দিচ্ছে। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের লাগাম টানতে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর কার্যত কোনো তদারকি দেখা যাচ্ছে না।
ফলে সাধারণ মানুষ এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের আইনগত বৈধতার দিকে খুব বেশি নজর দিচ্ছে না। বরং উচ্চ মুনাফার আশায় নিজের সঞ্চিত অর্থ এ ধরনের অননুমোদিত প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দিচ্ছে।
সাম্প্রতিক সময়ে হালাল বিনিয়োগের কথা বলে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা তুলতে দেখা যায়। এর মধ্যে হালাল ইনভেস্ট, গ্রো-আপ, অ্যাগ্রোস, ওয়ান উম্মাহ বিডি (ফান্ডিফাই), আইসিবি (সেভেন ব্রিজেস ক্যাপিটাল), অ্যাগ্রোনেক্সট অন্যতম।
হালাল ইনভেস্ট: আলোচিত প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসার ধরন সম্পর্কে শেয়ার বিজের অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, হালাল ইনভেস্ট নামের প্রতিষ্ঠানের এক বছর মেয়াদি দুটি প্রজেক্ট চালু আছে, একটি ’বিসমিল্লাহ্ মৎস্য খামার’ অপরটি ‘গ্রিন ভিউ অ্যাগ্রো’।
বিসমিল্লাহ্ মৎস খামার এক বছর মেয়াদি একটা প্রজেক্ট, এই প্রজেক্টে ১৮ দশমিক ৫ শতাংশ লভাংশ অফার করছে প্রতিষ্ঠানটি। অর্থাৎ ১ লাখ টাকা বিনিয়োগ করলে ১২ মাস পরে ১ লাখ ১৮ হাজার ৫০০ টাকা ফেরত দেয়া হয়। এই পুরো টাকাটা ৯টা কিস্তিতে ফেরত দেয়া হবে। চতুর্থ মাস থেকে ১১তম মাস পর্যন্ত ১ দশমিক ৭৩৫ শতাংশ, ১২তম মাসে দেয়া হবে ৮৬ দশমিক ১২ শতাংশ।
গ্রিন ভিউ প্রজেক্টও এক বছর মেয়াদি। এতে রিপেমেন্ট করা হবে ৬টা কিস্তিতে। সপ্তম এবং অষ্টম মাসে ২ দশমিক ৫৪২ শতাংশ মুনাফা দেয়া হবে। ৯ থেকে ১২ মাস পর্যন্ত ২৩ দশমিক ৭২৯ শতাংশ মুনাফা দেয়া হবে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটি ‘ল্যান্ড বাই অ্যান্ড ডেভলোপমেন্ট ইন গ্রিন বনশ্রী প্রজেক্ট’-এর শেয়ার বিক্রয় করে বলে জানা যায়।
প্রতিষ্ঠানটির ঠিকানাÑ১ম তলা, এ-১/৪, রোড: এন/এস, ব্লক: এ, বনশ্রী ল্যান্ডমার্ক: বায়তুল আতিক মসজিদের কাছে, ঢাকা। মালিকের নাম: আবু বকর সিদ্দিক, সহ-প্রতিষ্ঠাতা বাপ্পি, মেজবা উর রহমান।
গ্রো-আপ: গ্রো-আপের ছোট বড় সব ধরনের প্রজেক্ট রয়েছে। এই প্রজেক্টের আওতায় গ্রো-আপ হচ্ছে নিরাপদ একটা জায়গায় একজন ইনভেস্টররা ইনভেস্ট করবে এবং সেখান থেকে তারা হালাল পর্যায়ে মুনাফাটা পেতে থাকবে।
গ্রো-আপ বলছে, ইসলামী শরিয়াহ কনসাল্টিং বোর্ড দ্বারা এগুলো সবকিছু করা হয়ে থাকে। ব্যাংকে এক লাখ টাকার উপরে ৮০০ টাকা করে দেয়া হয় প্রতি মাসে। কিন্তু গ্রো-আপ এক লাখ টাকার ওপরে ২৬ হাজার টাকা দেবে এমনও প্রজেক্ট রয়েছে।
বর্তমানে তাদের আখের প্রজেক্ট, কচুর লতি প্রজেক্ট, আম বাগানের প্রজেক্ট, কোরবানির গরুর প্রজেক্ট চলমান রয়েছে।
গ্রো-আপ প্রধানত কৃষি-কৃষক-বিনিয়োগকারীদের নিয়ে কাজ করে। কৃষকরা নিজেরা ঋণের পরিবর্তে গ্রো-আপ থেকে বিনিয়োগ পেয়ে থাকে এবং এখানে বিনিয়োগকারীরা ইনভেস্ট করতে পারে। এটাকে ‘হালাল’ মডেল দাবি করছে প্রতিষ্ঠানটি। তাছাড়া বিনিয়োগকারীরা কৃষি খাতকে এগিয়ে নিয়ে যেতেও সাহায্য করছে, এমন একটি অনুভূতি নিয়েও কাজ করে প্রতিষ্ঠানটি। কারণ অনেক কৃষকই পুঁজির অভাবে নিজেদের কার্যক্রম এগিয়ে পারে না।
তারা তিন কর্মদিবসের মধ্যে বিনিয়োগকারীদের টাকা রিটার্ন দেয়। তাদের কার্যক্রম ইনভেস্টররা নিজের চোখে দেখতে পারে। এছাড়া বিনিয়োগকারীরা গ্রো-আপের ফেসবুক গ্রুপ এবং পেজে দেখতে পারবে টাকাটা তারা কোন কৃষি খাতে, কোন কৃষকদের দ্বারা কাজে লাগাচ্ছে।
গ্রো-আপের ঢাকা অফিসের ঠিকানা: অ্যাম্বন কমপ্লেক্স ৯৯, মহাখালী বা/এ, ঢাকা এবং দুবাই অফিসের ঠিকানা: এপিআই ওয়ার্ল্ড টাওয়ার (ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের পাশে) শেখ জায়েদ রোড, দুবাই ব্যবস্থাপনা পরিচালক: ড. শরিফুল ইসলাম সিআইপি, প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা: লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম মাহফুজ হোসেন (অবসরপ্রাপ্ত), পরিচালক: তাসনুভা খান।
অ্যাগ্রোস: অ্যাগ্রোসের দাবি, তাদের পুরো প্রক্রিয়া ইসলামি শরিয়াহভিত্তিক মুদারাবা সিস্টেমে চলে। বর্তমানে একটি মাল্টি ক্রপ ট্রেডিং প্রজেক্টে বিনিয়োগ নিচ্ছে তারা। এই প্রজেক্টে বিভিন্ন ধরনের পণ্য সাপ্লাই বিজনেস করা হয়। ঢাকার বিভিন্ন সুপার শপে বা কিছু বড় বড় পার্টি বা ক্লায়েন্টের কাছে তারা বিভিন্ন প্রোডাক্ট বিক্রি করেন, বিশেষ করে পেঁয়াজ, আলু ও রসুন।
প্রজেক্টের জন্য টাকা নেয়া হচ্ছে পাঁচ মাস করে। এক লাখ টাকা ইনভেস্ট করলে পাঁচ মাস পর ইসলামিক মুদারাবা মডেলে ৭-১০ হাজার টাকার মতো মুনাফা দেয়া হয়।
সাধারণত পাঁ লাখ টাকা বা এর ওপরে বিনিয়োগ করলে ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে এগ্রিমেন্ট করার একটা অপশন রাখে প্রতিষ্ঠানটি। এর থেকে কম বিনিয়োগ করলে খরচটা ইনভেস্টরকে দিতে হয়। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, যারা ব্যাংকের সুদভিত্তিক ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে চান না, তারা এখানে বিনিয়োগ করে থাকেন।
অ্যাগ্রোস এর ঠিকানাÑ২৭ সপ্তক স্কয়ার (লেভেল৭), হাউস ৩৮০, রোড ১৬, ধানমন্ডি, ঢাকা ১২০৯। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ও সিইও ফারুক আবদুল্লাহ ফেরদৌস।
ওয়ান উম্মাহ বিডি: ওয়ান উম্মাহ বিডিতে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, তারা ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি নয়। এটা আসলে মোডস ইন লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিত এবং ক্লোদিং আইটেম নিয়ে কাজ করে। ব্যাবসা বাড়ানোর লক্ষ্যে ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ইনভেস্ট নেওয়া হয়।
বর্তমানে মুশারাকা স্কিম নিয়ে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। মুশারাকা হচ্ছে একপ্রকার পার্টনারশিপ প্রজেক্ট। তবে ইনভেস্টরদেরকে সাইলেন্ট পার্টনার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মূল কোম্পানির ব্যবসায় ইনভেস্টরকে কিছু করতে হচ্ছে না। সে কেবল তার ইনভেস্টমেন্টের বিপরীতে প্রফিট বা লস শেয়ার করবে।
ওয়ান উম্মাহ বিডিতে এখন ইনভেস্টমেন্ট মূলত কেন্দ্রীয়ভাবে সংগ্রহ করা হচ্ছে। অর্থাৎ নির্দিষ্ট কোনো প্রজেক্টে ইনভেস্টমেন্ট নেয়া হচ্ছে না। তাদের মোট ২০টা আউটলেট রয়েছে সারাদেশে। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানও আছে। নিজস্ব ফ্যাক্টরি আছে। ওয়ান উম্মাহ বিডির হেড অফিস মিরপুর স্বাধীন সুপার মার্কেট।
অ্যাগ্রো নেক্সট: অ্যাগ্রো নেক্সট এবং হালাল ইনভেস্ট একই মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এবং একই ঠিকানা হলেও আলাদা আলাদা ওয়েব-সাইটে কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির ফাউন্ডার: আবু বক্কর সিদ্দিকি এবং কো-ফাউন্ডার: মো. শাহাজালাল বাদশা, রাফি মুদাব্বির এবং মেজবা উর রহমান সোহেল।
প্রতিষ্ঠানটিতে যোগাযোগ করে জানা যায়, বর্তমানে দুটি প্রজেক্ট চালু আছে প্রতিষ্ঠানটির। একটি হাঁসের, অপরটি ভেড়ার। হাঁসের প্রজেক্টে রাজহাঁস কিনে চার মাস পালন করে বিক্রি করবে এবং ভেড়ার প্রজেক্টে ভেড়া কিনে ছয় মাসে মোটাতাজা করে বিক্রি করবে প্রতিষ্ঠানটি। এটা মুদারাবা প্রজেক্ট, এখানে কোনো নির্দিষ্ট পরিমাণ লভ্যাংশ দেয়া হয় না। তবে যা প্রফিট হবে তার ৪০-৫০ শতাংশ বিনিয়োগকারীরা পাবেন। ইনভেস্টের ক্ষেত্রে অ্যাগ্রো নেক্সট থেকে দেয়া গুগোল র্ফম পূরণ করে ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা দিলে, অ্যাগ্রো নেক্সট থেকে ইনভেস্ট এর ডিডের কপি অনলাইনে দেয়া হবে। প্রজেক্ট শেষে ব্যাংকের মাধ্যমেই লভ্যাংশ দেয়া হবে বলে জানান তারা।
আইসিবি: আইসিবিতে (সেভেন ব্রিজ ক্যাপিটাল) যোগাযোগ করে জানা যায়, বর্তমানে চলমান কিছু প্রজেক্ট আছে, এগুলোতে ইনভেস্ট করা যাবে। এসব প্রজেক্ট রেশিরভাগই ছয় মাস মেয়াদি। এতে প্রতি মাসে প্রতি লাখে তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা করে মুনাফা দেয়া হয়। এছাড়া নতুন করে শেয়ার ভিত্তিক আরো কিছু প্রজেক্ট যোগ হতে যাচ্ছে। শেয়ারভিত্তিক প্রজেক্টগুলো চালু হলে সে অনুযায়ী মুনাফা পাওয়া যাবে।
প্রতিষ্ঠানটি জানায়, তারা শরিয়াহ্ভিত্তিক কাজ করে, ব্যবসার লোকসান বা মুনাফা ভাগাভাগির বিষয়টি মাথায় রেখেই সেখানে ইনভেস্ট করতে হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কেবল ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে প্রোপ্রাইটরশিপ বিজনেস খুলে এ ধরনের ব্যবসা চলছে। অনেকে আরজেএসসিতে নিবন্ধিতও না। শেয়ার বিজ-এর অনুসন্ধানে এমন অন্তত ২০টি প্রতিষ্ঠান খুঁজে পাওয়া গেছে। এর মধ্যে কোনো প্রতিষ্ঠান কৃষিভিত্তিক প্রকল্পের শেয়ার বিক্রি করে বিনিয়োগ তুলছে, কোনো প্রতিষ্ঠান ই-কমার্সের আড়ালে এমএলএম বা ট্রেডিং করছে, কোনো প্রতিষ্ঠান ভেঞ্চার ক্যাপিটালের মতো করে ক্রাউড ফান্ডিং করছে।
অথচ দেশের প্রচলিত আইনে এ ধরনের বিনিয়োগ তুলতে বেশ কিছু অনুমোদনের প্রয়োজন রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বা সংশ্লিষ্ট কোনো সংস্থার অনুমোদন ছাড়াই সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বিনিয়োগ সংগ্রহ করা যায় না। কারণ এই প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে গেলে বা প্রতারণা করলে গ্রাহকের টাকা ফেরতের উপায় থাকে না।
এ ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ আর্থিক কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণের প্রধান দায়িত্ব বর্তায় বাংলাদেশ ব্যাংক, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ভোক্তা অধিদপ্তর, প্রতিযোগিতা কমিশন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর ওপর। ফলে তাদের কঠোর নজরদারি দরকার।
আইটি খাতের এতগুলো প্রতিষ্ঠান বছরের পর বছর প্রকাশ্যে বিনিয়োগ নেয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে এই বার্তা যাচ্ছে যে, হয়তো এই কার্যক্রমগুলো বৈধ।
সার্বিক বিষয়ে শেয়ার বিজ কথা বলে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘সার্বিকভাবে আমরা এই ব্যবসাগুলোকে অনলাইন ব্যবসা বলে থাকি। এখানে অর্ডার করার পর পণ্য ডেলিভারির আগে যাতে প্রতিষ্ঠান টাকা তুলে নিতে না পারে, সেজন্য সারা বিশ্বে সেন্ট্রাল লজিস্টিক ট্র্যাকিং প্ল্যাটফর্ম (সিএলটিপি) ব্যবহার করা হয়। আমরা এখানেও সিএলটিপি চালুর উদ্যোগ নিয়েছি। এটা পাইলটিং চলছে। এতে যেটা দেখা গেছে, সম্প্রতি অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সিগুলোতে কিছু জালিয়াতি হয়েছে। তাদের কেস নিয়ে আমরা কাজ করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ ধরনের জালিয়াতি রোধে সিএলটিপির পরিপূর্ণ ব্যবহারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, অর্থমন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে যুক্ত করতে হবে। এটা হলে অনলাইনে সম্পদ কেন্দ্রীভূত করে তা মেরে দেয়ার সুযোগটা থাকবে না।’
কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নাজের হোসাইন বলেন, ‘এইটা একপ্রকার দৈন্য দশা আমাদের প্রশাসনিক ব্যবস্থায়। তারা কীভাবে এটা করতে পারে। এটা তো উচিত নয়। হালাল হোক, যাই হোক, এটার একটা লিগ্যাল অথরিটি থেকে অনুমোদন লাগবে। একটা সার্টিফিকেট দিতে হবে কোনো একটা কর্তৃপক্ষর। এটা হালাল না বেদাত, সেটা পরের বিষয়। আমাদের যারা রেগুলেটরি অথরিটি, তারা এগুলো দেখছেন না।’
প্রিন্ট করুন




Discussion about this post