প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

প্রথমার্ধে মুনাফা থেকে লোকসানে প্রিমিয়ার সিমেন্ট

১০% লভ্যাংশ ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণার পাশাপাশি চলতি হিসাববছরের প্রথমার্ধের (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২২) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে প্রিমিয়ার সিমেন্ট মিলস পিএলসি।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রকাশিত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা গেছে, চলতি হিসাববছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২২) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৪৫ পয়সা (লোকসান), অথচ  আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ২৩ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরে মুনাফা করলেও চলতি বছরের প্রথমার্ধের শেয়ারপ্রতি লোকসান গুনেছে প্রিমিয়ার সিমেন্ট। অন্যদিকে দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২২) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ১১ পয়সা। অর্থাৎ শুধু দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে ৪ পয়সা। এছাড়া ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বরে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৬৪ টাকা ৬৭ পয়সা, যা ২০২২ সালের ৩০ জুনে ছিল ৬৭ টাকা ১৩ পয়সা। প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৫ টাকা ৪৪ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে ছিল তিন টাকা এক পয়সা।

এদিকে ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১০ টাকা ৭০ পয়সা (লোকসান)। আর ৩০ জুন, ২০২২ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৬৭ টাকা ১৩ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৫ টাকা ২৬ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ২৮ মার্চ বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ মার্চ।

এর আগে ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ছয় টাকা ১৮ পয়সা। আর ৩০ জুন, ২০২১ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৭৯ টাকা ৮৩ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ছয় টাকা ৩১ পয়সা।

এদিকে গতকাল ডিএসইতে শেয়ারদর অপরিবর্তিত থেকে প্রতিটি সর্বশেষ ৪৪ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ১০ হাজার ১৮৬টি শেয়ার মোট ১৩ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনি¤œ ও সর্বোচ্চ ৪৪ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ৪৩ টাকা ২০ পয়সা থেকে ৬১ টাকা ৮০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।

কোম্পানিটি ২০১৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১০৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ ৬৯২ কোটি ১৪ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১০ কোটি ৫৪ লাখ ৫০ হাজার শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৪৭ দশমিক ১৫ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর ২২ দশমিক ২০ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক শূন্য চার শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ৩০ দশমিক ৬১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।