নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি হিসাববছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২২) পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিমেন্ট খাতের কোম্পানি কনফিডেন্স সিমেন্ট লিমিটেডের শেয়ারপ্রতি আয় আগের বছরের তুলনায় কমেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে সিমেন্ট তৈরির কাঁচামালের দরবৃদ্ধি এবং বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নের কারণে এই আয় কমেছে বলে জানা গেছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রকাশিত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা গেছে, চলতি হিসাববছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২২) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ৪৩ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৫ টাকা ৭৪ পয়সা। অর্থাৎ প্রথমার্ধের হিসাবে শেয়ারপ্রতি আয় এক টাকা ৩১ পয়সা কমেছে। অন্যদিকে দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২২) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৭৪ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় যা ছিল ৩ টাকা ৪২ পয়সা। অর্থাৎ শুধু দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে ৬৮ পয়সা। এছাড়া ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বরে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৭৬ টাকা ২২ পয়সা, যা ২০২২ সালের ৩০ জুনে ছিল ৭২ টাকা ২৪ পয়সা। প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৪ টাকা ৯৮ পয়সা (ঘাটতি), আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ৫ টাকা ২৫ পয়সা (ঘাটতি)।
সিমেন্ট খাতের এ কোম্পানিটি ১৯৯৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৮২ কোটি ১৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির রিজার্ভে রয়েছে ৪১৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৮ কোটি ২১ লাখ ৪৬ হাজার ৪৬৮টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৩০ দশমিক ৩৪ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ৩৫ দশমিক ২৩ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৩৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ শেয়ার।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর অপরিবর্তিত থেকে প্রতিটি সর্বশেষ ৮৯ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। গত এক বছরে শেয়ারদর ৮৯ টাকা থেকে ১২২ টাকা ৪০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে। দিনজুড়ে কোম্পানিটির মোট তিন হাজার ১৫৯টি শেয়ার মোট ১৬ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর দুই লাখ ৮০ হাজার টাকা।
২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৪৩ পয়সা এবং ২০২২ সালের ৩০ জুনে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৭২ টাকা ২৪ পয়সা। আর এই হিসাববছরে মুনাফা হয়েছে ১১ কোটি ১৬ লাখ টাকা।
এর আগের বছরে অর্থাৎ ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। সে সময়ে তাদের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ১৫ টাকা ৮৬ পয়সা এবং ২০২১ সালের ৩০ জুনে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৭৪ টাকা ২৬ পয়সা।