প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

প্রথমার্ধে শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে আরামিটের

নিজস্ব প্রতিবেদক:চলতি হিসাববছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২২) পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিবিধ খাতের কোম্পানি আরামিট লিমিটেডের শেয়ারপ্রতি আয় আগের বছরের তুলনায় কমেছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রকাশিত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা গেছে, চলতি হিসাববছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২২) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ২৩ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩ টাকা ১২ পয়সা। অর্থাৎ প্রথমার্ধের হিসাবে শেয়ারপ্রতি আয় ৮৯ পয়সা কমেছে। অন্যদিকে দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২২) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ১০ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ১ টাকা ৯৮ পয়সা। অর্থাৎ শুধু দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে ৮৮ পয়সা। এ ছাড়া ২০২২ সালের

৩১ ডিসেম্বরে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৫৩ টাকা ৬০ পয়সা, যা ২০২২ সালের ৩০ জুনে ছিল ১৫২ টাকা ২৮ পয়সা। প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২২ পয়সা (ঘাটতি), আগের বছর একই সময়ে ছিল ৮ টাকা ৯২ পয়সা (ঘাটতি)।

কোম্পানিটি ১৯৮৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির ১০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ছয় কোটি টাকা। আরামিটের বর্তমানে রিজার্ভের পরিমাণ ৯২ কোটি ১২ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট ৬০ লাখ শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে ৬৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের, প্রাতিষ্ঠানিক ১১ দশমিক ৭৪ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ২৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরে ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮ টাকা ২৫ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৫২ টাকা ২৮ পয়সা। এর আগের বছরেও কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। তখন কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছিল সাত টাকা ৬৯ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি এনএভি দাঁড়িয়েছিল ১৮১ টাকা ৪২ পয়সা। ২০২২ সালে তাদের মুনাফা হয় ৪ কোটি ৯৫ লাখ ২০ হাজার টাকা আর ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে ৪ কোটি ৬১ লাখ ৪০ হাজার টাকা মুনাফা করে আরামিট লিমিটেড।

এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর এক শতাংশ বা ২ টাকা ৭০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ২৬৭ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। গত এক বছরে শেয়ারদর ২৫৮ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ৪১৯ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে। দিনজুড়ে কোম্পানিটির মোট তিন হাজার ১৫৪টি শেয়ার মোট ৪৩ বার হাতবদল হয়; যার বাজারদর ৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা। আর গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর ২৫৮ টাকা ৩০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৪১৯ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।

সর্বশেষ নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং বাজারদরের ভিত্তিতে মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ৩২ দশমিক ৪২ এবং অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং বাজারদরের ভিত্তিতে ৫৯ দশমিক ৯৮।