প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

প্রথমার্ধে সালভো কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রির ইপিএস কমেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি হিসাববছরের প্রথমার্ধের (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২২) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি সালভো কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড। আর আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২২) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩৭ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ৮০ পয়সা। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস কমেছে ৪৩ পয়সা। অন্যদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে বা প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯৯ পয়সা, আগের হিসাববছরের একই সময়ে যা ছিল এক টাকা ৩৫ পয়সা। সে হিসেবে আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ইপিএস কমেছে ৩৬ পয়সা। এদিকে ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৫ টাকা ৪২ পয়সা। আর প্রথম দুই প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১ টাকা ১৭ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ২ টাকা ২৬ পয়সা।

কোম্পানিটি ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৯৮ পয়সা। আর ৩০ জুন ২০২২ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৫৮ পয়সা। এছাড়া ওই সময়ে শেয়ার প্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৪ টাকা ৪৮ পয়সা। আর ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য দুই শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। সে সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছিল ৩৪ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২১ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) ছিল ১২ টাকা ৬৯ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছিল এক টাকা ৫ পয়সা।

কোম্পানিটি ২০১১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ১৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৬৫ কোটি দুই লাখ ৩০ হাজার টাকা। বর্তমানে রিজার্ভের পরিমাণ ২৯ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট ছয় কোটি ৫০ লাখ ২২ হাজার ৭৯৩টি শেয়ার রয়েছে। কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ২৫ দশমিক ১৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে বাকি ৬৫ দশমিক ১৫ শতাংশ শেয়ার।