নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২২) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি এক্সপোর্ট ইমপোর্ট (এক্সিম) ব্যাংক অব বাংলাদেশ লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৫ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৫ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ২০ পয়সা। ২০২২ সালের ৩১ মার্চ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৯৭ পয়সা। এছাড়া প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১৫ টাকা ৮২ পয়সা (ঘাটতি)।
সর্বশেষ কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য সাড়ে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৪৯ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) ছিল ২১ টাকা ৭২ পয়সা। এর আগে ব্যাংক খাতের এ কোম্পানিটি ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য সাড়ে সাত শতাংশ নগদ এবং আড়াই বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৯৯ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৬৬ পয়সা।
‘এ’ ক্যাটেগরির এ ব্যাংকটি ২০০৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। দুই হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ৪৪৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ৬১১ কোটি ৬১ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১৪৪ কোটি ৭৫ লাখ ৫৭ হাজার ৩৪৪টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৩৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারী এক দশমিক ১৮ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩১ দশমিক ২৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর অপরিবর্তিত থেকে প্রতিটি সর্বশেষ ১২ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল ১২ টাকা ২০ পয়সা। দিনজুড়ে ১২ লাখ ২৯ হাজার ৮৩৭ শেয়ার মোট ২০১ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর এক কোটি ৫০ লাখ ৩০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিন্ম ১২ টাকা ২০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১২ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ১০ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ১৪ টাকা ৪০ পয়সায় ওঠানামা করে।