প্রতিনিধি, রাজবাড়ী : রাজবাড়ীতে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি ও গুজব ছড়ানোর দায়ে সোনিয়া আক্তার স্মৃতি নামে এক নারীকে গ্রেফতার করেছে সদর থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (০৪ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে রাজবাড়ী পৌরসভার বেড়াডাঙ্গা এলাকার ভাড়া বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশের একটি বিশেষ টিম। বুধবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে রাজবাড়ী সদর থানা পুলিশ তাকে আদালতে পাঠিয়েছে।
সোনিয়া আক্তার স্মৃতি রাজবাড়ী পৌরসভার ৩ নং বেড়াডাঙ্গার মো. খোকনের স্ত্রী। তিনি ‘রাজবাড়ী ব্লাড ডোনার্স ক্লাব’ নামে একটি স্বোস্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিজের ফেসবুক আইডিতে বিভিন্ন সময় সরকারের বিপক্ষে লেখালেখি করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো. সামসুল আরেফিন চৌধুরী বাদী হয়ে রাজবাড়ী সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রাজবাড়ী সদর থানায় দণ্ডবিধি ১৫৩ ও ৫০৫ ধারায় মামলা গ্রহণ করে পুলিশ।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্ত আসামী উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুনাম ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য উল্লিখিত মিথ্যা, বানোয়াট ও মানহানিকর ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বক্তব্য সামজিক যোগাযোগ মাধ্যম/ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচার করেন।
এদিকে গ্রেফতার আগে ফেসবুক লাইভে আসেন সোনিয়া আক্তার স্মৃতি। সেখানে পুলিশকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমাকে মধ্যরাতে কেন ধরতে আসছেন? আমি তো পালিয়ে যাচ্ছি না। আমার ছোট ছোট দুটা বাচ্চা আছে। আমি তাদের রেখে আসছি। আমাকে ১০-১৫ মিনিট সময় দেন। আমি স্বেচ্ছায় বের হচ্ছি। তিনি ভালো আছেন, সুস্থ আছেন বলে ফেসবুকে সবার উদ্দেশ্যে জানান।
রাজবাড়ী সদর থানার ওসি মোঃ শাহাদৎ হোসেন জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে সোনিয়া আক্তার স্মৃতি ইসলাম নামে এক নারী ফেসবুকে কটুক্তি ও গুজব ছড়ানোর অভিযোগে একটি মামলাহয়। সে মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে তার বিরুদ্ধে স্বোচ্ছাসেবীর আড়ালে রক্ত বেচাকেনার অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়াও আপন নামে এক স্বেচ্চাসেবক রক্ত বেচাকেনার প্রতিবাদ করায়, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শহরের রেলওয়ে মাঠে তাকে ডেকে নিয়ে থাপ্পড় মারে এবং তাকে হত্যার হুমকি দেন কথিত এই স্মৃতি ইসলাম। এঘটনায় আপন সদর থানায় ২২/০৯/২০২০ইং তারিখে একটি জিডি করেন। এছাড়াও স্মৃতি ইসলাম ধর্ষণ মামলার চার্জশিট ভুক্ত আসামী।