প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

প্রশাসনের আশ্বাসে অনশন ভাঙলেন কুবির শিক্ষার্থীরা

প্রতিনিধি, কুবি : কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবির চারটি নিরসনের আশ্বাসে অনশন ভাঙলেন সাত শিক্ষার্থী। গতকাল সোমবার বিকালে প্রশাসনিক ভবনের সামনে উপ-উপাচার্য ও ট্রেজারারের আশ্বাসে অনশন ভাঙেন তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রোববার বিকাল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীকে প্রকাশ্যে মারধরের ঘটনায় হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার, প্রক্টরের অপসারণ, বহিষ্কৃত দুই শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারসহ পাঁচ দফা দাবিতে তারা আমরণ অনশন শুরু করেন।

অনশনকারী শিক্ষার্থীরা হলেন লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী এনায়েত উল্লাহ, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সালমান চৌধুরী এবং লাবিবা ইসলাম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ইমতিয়াজ শাহরিয়া ও কাজল হোসাইন, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের নাজমুল হাসান পলাশ এবং মার্কেটিং বিভাগের রবি দাস। টানা ১০ দিন শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের পর আমরণ অনশনে বসেন তারা।

পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আশ্বাসে আলোচনায় বসেন। সেখানে পাঁচ দফা দাবির চারটি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেয় প্রশাসন। পরে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামানসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা উপস্থিত হয়ে অনশনরত শিক্ষার্থীদের পানি পান করিয়ে অনশন ভাঙান।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান পলাশ বলেন, প্রশাসনের আশ্বাসে অনশন আমরা শিথিল করেছি। আমাদের যে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে, তা যদি বাস্তবায়ন না করা হয় তাহলে আমরা আরও কঠোর

আন্দোলনে যাব।

প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমাদের মাঝে সব বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে। এ বিষয়ে আর কিছু বলার নেই।

প্রক্টরের অপসারণের দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, মূলত ছাত্রলীগের একটি দল আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে অকারণে পদত্যাগ চেয়েছে।

সার্বিক বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈন বলেন, আমরা তাদের আশ্বাস দিয়েছি, ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সবাই আইডি কার্ড নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করবে। হলে অছাত্র এবং অবৈধ কেউ থাকতে পারবে না। যে দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে, সেটা স্থগিত থাকবে। আর প্রক্টরের বিরুদ্ধে যথাযথ প্রমাণ পেলে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেব।