প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

ফার্নিচারে মূল্যছাড় প্রতিযোগিতা

ধীরে ধীরে জমছে ২২তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা। ভিড় বাড়ছে ক্রেতা-দর্শনার্থীর। গৃহস্থালিসজ্জায় প্রয়োজনীয় নানা পণ্যের খোঁজে সেখানে যাচ্ছেন অনেকে। ফার্নিচারপণ্য নিয়ে বাণিজ্যমেলায় আছে আটটি কোম্পানি। তাদের মধ্যে চলছে মূল্যছাড়ের প্রতিযোগিতা।

মেলায় অংশ নিয়েছে আরএফএল, পারটেক্স, হাতিল, ব্রাদার্স, আখতার, আলয়, নাদিয়া ও নাভানা ফার্নিচার। চেয়ার, টেবিল ডাইনিং, শেলফ, আলমারি, খাট, সোফা সেট থেকে শুরু করে সব ধরনের আইটেম আছে প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানের দোকানে।

আরএফএলের ফার্নিচার ব্র্যান্ড রিগ্যাল ছাড় দিচ্ছে ১০ শতাংশ। তাদের অধিকাংশ পণ্য কৃত্রিম কাঠের তৈরি হালকা ফার্নিচার। পারটেক্সের পণ্যে রয়েছে ১৮ শতাংশ ছাড়। তবে তাদের সব আইটেমের ছাড় সমান নয়। পারটেক্সের ডেপুটি ম্যানেজার শাহীনুর রহমান শেয়ার বিজকে বলেন, কাঠের ও লেমিনেটেড বোর্ড বা এলবি পণ্যের ওপর ১৮ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়েছে। চেয়ার ও সোফায় ছাড় রাখা হয়েছে ১৫ শতাংশ। অন্যদিকে স্টিলের পণ্যের ছাড় ১০ শতাংশ। তিনি জানান, মেলা উপলক্ষে বেশ কিছু নতুন পণ্য আনা হয়েছে। এলবি পণ্যগুলোতে স্বতন্ত্র রং সংযোজন করা হয়েছে। পারটেক্সের সবচেয়ে অভিজাত সোফা সেটের মূল্য এক লাখ ৭১ হাজার টাকা। আর সর্বনিম্ন সোফা সেটের মূল্য সাড়ে ৯৬ হাজার টাকার ওপর ১৮ শতাংশ ছাড় দিয়ে ৭৯ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করছে প্রতিষ্ঠানটি।

hatilব্রাদার্স ফার্নিচার তাদের পণ্য ভেদে বিভিন্ন ধরনের ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছে। সর্বনিম্ন ৫ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ছাড়ের পরিমাণ ১৫ শতাংশ। ব্রাদার্সের বিক্রয়কর্মী জানান, অধিকাংশ পণ্যের কাঁচামাল আসে কানাডা থেকে। বিদেশি কাঁচামাল হওয়ায় তাদের পণ্যের মান উন্নত।

সব পণ্যের ওপর ৫ শতাংশ ছাড় দিচ্ছে হাতিল। মেলা ঘুরে দেখা গেছে, নাভানা ছাড়া প্রায় সব ফার্নিচার স্টল দ্বিতল বা ত্রিতল প্যাভিলিয়ন করা হয়েছে। এক তলায় গৃহসজ্জার জন্য খাট, আলমারি, ডায়নিং. ড্রেসিং। অন্য তলায় রাখা হয়েছে অফিস সাজানোর আইটেম।

নাভানা ফার্নিচারের বিক্রয় কর্মীরা জানান, কাঠের তৈরি পণ্যের ওপর ১৭ শতাংশ ছাড় দেওয়া হচ্ছে। এলবি পণ্যসহ চেয়ার ও সোফা সেটে ১৩ শতাংশ, ধাতব শিটের তৈরি পণ্যে ১০ শতাংশ ও হাসপাতালের জন্য প্রয়োজনীয় মেডিক্যালপণ্যে ৭ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়েছে।

regal-furnitureআখতার ফার্নিচারের বিক্রয়কর্মী আবু হানিফ জানান, মেলায় দুটি প্যাভিলিয়ন নেওয়া হয়েছে। একটিতে অফিস, অন্যটিতে বাসাবাড়ির উপকরণ রাখা হয়েছে। দুটি প্যাভিলিয়নের জন্য ৪০ জন বিক্রয়কর্মী রেখেছে আখতার কর্তৃপক্ষ। তাদের ফার্নিচারের ওপর ১২ শতাংশ ছাড় রয়েছে। আখতারের ঘরোয়া ফার্নিচার কাঠের। অফিসিয়াল ফার্নিচারগুলো ধাতব, মেলামাইন ও লেকার পলিশের। আরেক প্রতিষ্ঠান নাদিয়া ফার্নিচার দিয়েছে ৫ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়। মেলা প্রাঙ্গণে ব্যতিক্রমী ফার্নিচারপণ্য নিয়ে এসেছে আলয় গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটির সব ফার্নিচার অ্যালুমিনিয়াম প্লেট দিয়ে তৈরি। সেগুলো ওজনে হালকা ও রং-ঢংয়ে বৈচিত্র্যময়। তারাও মেলা উপলক্ষে ৫ থেকে ২০ শতাংশ ছাড় দিচ্ছে।

আটটি প্রতিষ্ঠানের বাইরে আলীবাবা ডোর, ইকো উডসসহ নানা প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ডিজাইনের দরজা নিয়ে তাদের প্যাভিলিয়ন সাজিয়েছে।