প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

  ফের ইস্পাত রফতানি কমেছে চীনের

 

শেয়ার বিজ ডেস্ক: চলতি বছরের জানুয়ারিতে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় চীনের ইস্পাত রফতানি কমেছে ২৩ দশমিক ২ শতাংশ। ওই সময়ে দেশটি থেকে ইস্পাত রফতানি হয়েছে ৭ দশমিক ৪২ মিলিয়ন টন। চীনের জেনারেল অ্যাডমিস্ট্রিশন অব কাস্টম (জিএসি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।

জিএসির তথ্যমতে, চীন থেকে জানুয়ারিতে গত বছরের ডিসেম্বরের তুলনায় ইস্পাত রফতানি কমেছে ২৬ দশমিক ৮ শতাংশ। আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা কমে যাওয়ায় ইস্পাত রফতানিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়। গত বছর চীন থেকে ১০৮ দশমিক ৪ মিলিয়ন টন ইস্পাত রফতানি হয়েছে। আগের বছরের তুলনায় এটি ৩ দশমিক ৫ শতাংশ।

লেন্স স্টিল ইনফরফেশন রিচার্স সেন্টারের তথ্যমতে, গত বছর চীনের ইস্পাত উৎপাদনের বিরুদ্ধে ২০ দেশ প্রায় ৪৮টি বাণিজ্য মামলা করেছে। আগের বছরের তুলনায় এ মামলা ২৯ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি।

বিশ্বের বৃহৎ ইস্পাত উৎপাদনকারী ও ভোক্তা দেশ চীন। আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে শ্লথগতিতে চাহিদা কমে যাওয়ায় চীনের ইস্পাতশিল্পে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

এ পরিস্থিতিতে ইস্পাত উৎপাদন কমাতে চেষ্টা করছে দেশটি। গত বছর উৎপাদন ৪৫ মিলিয়ন

টনের মধ্যে রাখতে লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছিল।

ওয়ার্ল্ড স্টিল অ্যাসোসিয়েশনের পরিসংখ্যান অনুসারে, বিশ্বের ইস্পাতের অর্ধেকই তৈরি হয় চীনে। বর্তমানে চীনের ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতা বছরে প্রায় ১২০ কোটি টন বলেও দাবি তাদের।

প্রসঙ্গত, বেজিং অলিম্পিক পর্যন্ত চীনে ইস্পাতের চাহিদা ছিল তুঙ্গে। এর পর থেকে সেই চাহিদা কমেছে ক্রমাগত। অথচ ভাটা পড়েনি জোগানে। আর চীনসহ সারা বিশ্বে মন্দার পর ইস্পাতের চাহিদা কমার সঙ্গে তাল মিলিয়ে তার দাম কমেছে হুড়মুড়িয়ে। অবস্থা আরও ঘোলাটে করে তুলেছে ২০১৫ সালে সে দেশে গত ২৫ বছরে সর্বনিম্ন আর্থিক বৃদ্ধির হারও (৬ দশমিক ৯ শতাংশ)।