প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

ফেলানী হত্যার ছয় বছরেও ন্যায়বিচার পায়নি পরিবার

শেয়ার বিজ ডেস্ক: কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে কিশোরী ফেলানী হত্যার ছয় বছর পূর্ণ হয়েছে গতকাল। নির্মম এ হত্যাকাণ্ডের বিচারকাজ ছয় বছর ধরে চললেও এখনও ন্যায়বিচার পায়নি ফেলানীর পরিবার। মামলাটি বিএসএফ’র বিশেষ আদালত গড়িয়ে এখন ভারতের সর্বোচ্চ আদালতে রয়েছে। খবর পরিবর্তন ডটকম।

২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ার ওপর গুলি করে নির্মমভাবে খুন করা হয় কিশোরী ফেলানীকে। ভারতের ১৮১ ব্যাটালিয়নের চৌধুরীহাট ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষের গুলিতে নিহত ফেলানীর মরদেহ কাঁটাতারেই ঝুলে থাকে দীর্ঘ চার ঘণ্টা। ফেলানীর ঝুলে থাকা লাশের ছবি দেখে দেশ-বিদেশের গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মধ্যে সমালোচনার ঝড় ওঠে। বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির দাবির মুখে ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট ভারতের কোচবিহারে বিএসএফ’র বিশেষ আদালতের সোনারী ছাউনিতে ফেলানী হত্যার বিচারকাজ শুরু হয়। ওই বছর ৬ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।

এ ঘটনায় আবারও সমালোচনার ঝড় উঠলে পরবর্তীতে বিজিবির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রায় পুনর্বিবেচনার জন্য ২০১৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর মামলার কার্যক্রম আবার শুরু করে বিএসএফ’র বিশেষ আদালত। আবারও অমিয় ঘোষকে নির্দোষ সাব্যস্ত করে আগের রায় বহাল রাখে বিএসএফ’র আধিকারী সিপি ত্রিবেদীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বিচারিক প্যানেল।

ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম জানান, বিএসএফ’র বিশেষ আদালতে হত্যার ন্যায়বিচার না পেয়ে ২০১৫ সালের ৪ আগস্ট ভারতের মানবাধিকার সংগঠন মাসুম’র (মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ) সহায়তায় ভারতের উচ্চ আদালতে রিট করেন তিনি। সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতি রিটটি গ্রহণ করে শুনানির জন্য সম্মত হন। ফলে ফেলানী হত্যার ন্যায়বিচার এখন সর্বোচ্চ আদালতের ওপর। ভারতের উচ্চ আদালতে তিনি মেয়ে হত্যার ন্যায়বিচার পাবেন বলে আশা করেন।