প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষাকে জনগণের মাঝে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন – দীপু মনি

প্রতিনিধি, জবি : শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু প্রথমে স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা নিজের মধ্যে ধারণ করেন এবং পরবর্তীতে জনগণের মাঝে ছড়িয়ে দেন। বাঙালি জাতির জন্য তিনি আলাদা স্বাধীন ভূখন্ড চেয়েছিলেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকাণ্ডে জিয়ার ভূমিকার কারণে শুধু ইতিহাসবিদই নয়, পুরো জাতির নিকট জিয়া শ্রেষ্ঠ খলনায়ক হিসেবে পরিচিত লাভ করেছে।

জাতীয় শোক দিবস-২০২২ উপলক্ষে বুধবার (২৪ আগস্ট ) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির আয়োজনে কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড : জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “বঙ্গবন্ধু ছিলেন অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ও মানবিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত। তাঁরই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগ্য নেতৃত্ব দানের মাধ্যমে দেশকে ক্রমশ উন্নতির দিকে ধাবিত করছেন। দেশে অসাম্প্রদায়িক লোক যেমন রয়েছে, তেমনি সাম্প্রদায়িক ও স্বাধীনতা বিরোধী লোকও রয়েছে। অসাম্প্রদায়িক বঙ্গবন্ধুর আদর্শভিত্তিক রাজনীতির বিপরীতে রয়েছে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি, বিরুদ্ধাচারণ ও অপরাজনীতি।”

তিনি আরো বলেন, “বর্তমান সরকার দেশের প্রভূত উন্নয়নে সংকল্পবদ্ধ। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও বিদ্যুতায়নের মাধ্যমে সারাদেশকে উন্নয়নের সাথে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হঠকারী কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন নাই। বাঁধা বিপত্তি থাকা স্বত্ত্বেও নিজের জীবনের হুমকি কখনও অনুভব করেন নাই। জনগণের উন্নতির ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করার জন্যই আওয়ামীলীগকে ক্ষমতায় যেতে হবে।”

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, “বঙ্গবন্ধু শৈশবকাল থেকেই বাঙালি জাতির স্বাধিকারের বিষয়ে সজাগ ছিলেন। মেহনতী মানুষের কল্যাণে নিজের জীবনকে উজাড় করে দিয়েছিলেন। স্বাধীনতা পরবর্তীতে বাঙালি জাতির ভাগ্য পরিবর্তন ও দেশকে গড়ার কাজে বঙ্গবন্ধু নিজেকে সম্পূর্ণরূপে আত্মনিয়োগ করেছিলেন।”

বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের ইতিহাসের নৃশংস হত্যাকাণ্ড উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, “বঙ্গবন্ধু ও তাঁর সপরিবারের হত্যাকাণ্ড কোনো আকস্মিক হত্যাকাণ্ড নয়। এই বিষয়ে আরো তথ্য অনুসন্ধান করার প্রয়োজন রয়েছে। মূলত সদ্য স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশকে পিছিয়ে দেওয়ার জন্যই এই জঘন্য হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছিলো।”

আলোচনা সভায় “বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র : পেছনে ফিরে দেখা’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ আবুল হোসেন এবং প্রবন্ধের উপর মূল আলোচক হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেলিম।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ ছিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মোঃ লুৎফর রহমান। এসময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু গবেষণা কেন্দ্র’ প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন।

অনুষ্ঠানে ‘জয়তু বঙ্গবন্ধু (২) : ১৫ আগস্ট- নির্মম হত্যাকাণ্ডের পূর্বাপর’ শীর্ষক স্মারক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এসময় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক, কর্মকর্তা, সাংবাদিক প্রতিনিধিবৃন্দ ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।