প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের তদন্তে ‘অনুসন্ধান কমিশন’ কেন নয়: হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যাকাণ্ডের তদন্তে একটি স্বাধীন ‘জাতীয় অনুসন্ধান কমিশন’ গঠনের নির্দেশনা কেন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এক রিট আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল সোমবার এ রুল জারি করেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব, অর্থ সচিবকে ও স্বরাষ্ট্র সচিবকে চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। ২০২১ সালের ২৫ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুবীর নন্দী দাসের পক্ষে রিটটি করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট আশফাকুজ্জোহা।

গতকাল আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আব্দুল আলিম জুয়েল। সঙ্গে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুবীর নন্দী দাস, অ্যাডভোকেট আশফাকুজ্জোহা, অ্যাডভোকেট আসালাম মিয়া ও অ্যাডভোকেট মো. মিনহাদুজ্জামান লিটন।

রিট মামলায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার ঘটনার আদ্যোপান্ত এবং জড়িত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিতকরণে তদন্ত কমিশন গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়।

ব্যারিস্টার জুয়েল সাংবাদিকদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা হয়েছিল ২১ বছর পর। এত দীর্ঘ সময় পার হওয়ার কারণে ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িত অনেকে মারা যাওয়ায় তাদের মামলায় আসামি করা যায়নি। আবার হত৬্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত না হলেও এর ষড়যন্ত্র ও নীলনকশার সঙ্গে অনেকে জড়িত ছিল, যারা পরবর্তীতে এ হত্যাকাণ্ড থেকে লাভবান হয়েছে। কিন্তু তাদের চিহ্নিত করা হয়নি। এ বিষয়গুলো তুলে ধরে আমরা শুনানিতে কমিশন গঠনের বিষয়ে নির্দেশনা চেয়েছি।’

এমনকি খুনিদের বাঁচাতে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছিল, তাদের নানা পদ দিয়ে পুরস্কৃতও করা হয়েছিল।