প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

বড় উত্থান ভ্রমণ খাতে

নিজস্ব প্রতিবেদক: সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস গতকাল কিছুটা উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে দেশের পুঁজিবাজারে। এদিন পুঁজিবাজারের সব সূচক বেড়েছে। সেই সঙ্গে লেনদেন আগের দিনের তুলনায়  বেড়েছে। এদিন ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ  কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটদর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেশি ছিল ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের শেয়ারে। এদিন খাতটিতে বড় উত্থান হয়েছে; ফলে খাতটির শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে।  এরপর দর বৃদ্ধির দ্বিতীয় স্থানে ছিল আইটি খাতের শেয়ার। বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে যথাক্রমে ছিল সেবা ও আবাসন এবং কাগজ ও মুদ্রণ খাত। অপরদিকে গতকালও পাট খাতের শেয়ারদর কমেছে সবচেয়ে বেশি। এর আগের দিনও এ খাতের শেয়ারদর বেশি কমেছিল।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল ভ্রমণ খাতের শেয়ারদর  বেড়েছে ৬ দশমিক ৯০ শতাংশ। এদিন খাতটিত মোট ৪টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ২টির দর বেড়েছে এবং বাকি কোম্পানির শেয়ারের দর অপরিবর্তিত ছিল। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আইটি খাতে দর বেড়েছে ২ দশমিক ৮০ শতাংশ। খাতটিতে মোট ১১টি কোম্পানির লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৮টির দর বেড়েছে এবং ১টির অপরিবর্তিত ছিল। ১ দশমিক ৮০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে সেবা খাত তৃতীয় স্থানে ছিল। এ খাতে লেনদেনে ৪টি কোম্পানির মধ্যে ৩টি দর বেড়েছে এবং ১টির অপরিবর্তিত ছিল। চতুর্থ স্থানে থাকা কাগজ খাতে দর বেড়েছে ১ দশমিক ৮০ শতাংশ। এছাড়া টেলিকমিউনিকেশন, সিমেন্ট, আর্থিক, মিউচুয়াল ফান্ড, প্রকৌশলী, ব্যাংক এবং জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে শেয়ারদর বৃদ্ধির বা কমার কোনো পরিবর্তন হয়নি।

এদিকে গতকাল বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কম থাকায় পাট খাতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে। খাতটিতে গতকাল শেয়ারদর কমেছে ১ শতাংশ। এরপর দর বেশি কমেছে সাধারণ বস্ত্র খাতের শেয়ারে। খাতটিতে দশমিক ১০ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে।

অপরদিকে গতকাল লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাতে। খাতটিতে গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৯ দশমিক ২০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। এরপর দ্বিতীয় স্থানে থাকা আইটি খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৩ দশমিক ৩০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ১১ দশমিক ৩০ শতাংশ লেনদেন হওয়া ভ্রমণ খাত রয়েছে তৃতীয় স্থানে। চতুর্থ স্থানে থাকা প্রকৌশলী খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৮ দশমিক ৮০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৭ দশমিক ৫৬ পয়েন্ট বা  দশমিক ২৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ২০২ দশমিক ৬২ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৩ দশমিক ৬০ পয়েন্ট বা দশমিক ২৬ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৪ দশমিক ৬৮ পয়েন্ট বা দশমিক ২১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৩৫৫ দশমিক ৮৩ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ১৯৬ দশমিক ৮৫ পয়েন্টে।

ডিএসইতে ২৯১ কোটি ১১ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে; যা আগের কার্যদিবস থেকে ৯২ কোটি ২১ লাখ টাকা বেশি। আগের কার্যদিবস লেনদেন হয়েছিল ১৯৮ কোটি ৯০ লাখ টাকার। ডিএসইতে ৩৫৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ারদর বেড়েছে ৭৭টির বা ২১ দশমিক ৬৯ শতাংশের, শেয়ারদর কমেছে ৯০টির বা ২৫ দশমিক ৩৫ শতাংশের এবং ১৮৮টির বা ৫২ দশমিক ৯৬ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিটদর অপরিবর্তিত রয়েছে।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪৪ দশমিক ১৬ পয়েন্ট বা দশমিক ২৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৩১৫ দশমিক ৪১ পয়েন্টে। সিএসইতে ১৮৩টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৮টির দর বেড়েছে, কমেছে ৩৮টির আর ৯৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ১০ কোটি ৫৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।