প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

বাতিল নোট জমায় এবার ভোগান্তিতে প্রবাসী ভারতীয়রা

শেয়ার বিজ ডেস্ক: নোট বাতিলের প্রভাবে এতদিন ছিল দেশের সাধারণ মানুষের ভোগান্তি। এবার ভোগান্তি শুরু হয়েছে প্রবাসী ভারতীয় ও ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিদেশিদের। কলকাতা, চেন্নাই, মুম্বাই, দিল্লি, নাগপুর

শুধু এই পাঁচটি স্থানে রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার (আরবিআই) বিভিন্ন শাখায় বাতিল নোট জমা দেওয়ার সুযোগ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন প্রবাসী বা ভারতীয় বংশোদ্ভূতরা। খবর পিটিআই।

প্রবাসীদের ক্ষেত্রে বাতিল নোট জমা দেওয়ার নির্দেশিকায় আরবিআই জানিয়েছিল, ৫০ দিনের সময়সীমা (৩০ ডিসেম্বর) শেষ হয়ে যাওয়ার পর ২৫ হাজার রুপির বেশি জমা দিতে পারবেন না প্রবাসী ভারতীয়রা। একইসঙ্গে পাসপোর্টে অভিবাসন দফতরের সিল থাকতে হবে, যাতে বোঝা যায় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ৫০ দিনের সময়সীমার মধ্যে তিনি দেশে ছিলেন না। সঙ্গে ব্যাংক হিসাবের যাবতীয় কাগজপত্র নিয়ে যেতে হবে, যাতে আরবিআই দেখতে পারে ওই সময়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসাবে বাতিল নোট জমা পড়েনি।

সমস্যা হলো, এতদিন যারা দেশের বাইরে ছিলেন, তারা এই নিয়মের জন্য সব বাতিল নোট জমা দিতে পারছেন না। কারণ, প্রবাসী ভারতীয় বা ভারতীয় বংশোদ্ভূতরা যেহেতু প্রায়ই দেশে আসেন, তাই তাদের কাছে বেশকিছু ভারতীয় মুদ্রা রয়েছে বাতিল নোটে। সেই পরিমাণ কারও ক্ষেত্রে ১ থেকে দেড় লাখ রুপি, কারও কাছে ৫০-৬০ হাজার রুপি। প্রতিবার ভারতে আসার সময় কমিশন দিয়ে যাতে ভারতীয় মুদ্রা সংগ্রহ  করতে না হয়, সেজন্য এই পরিমাণ রুপি তারা রেখে দিয়েছিলেন তাদের কাছে।

মাত্র চার ঘণ্টার নোটিসে গত ৮ নভেম্বর নরেন্দ্র মোদি সরকার ৫০০ ও ১ হাজার রুপির নোট বাতিল করে দেওয়ায় দুচিন্তায় পড়েন তারা। তড়িঘড়ি করে দেশে ফিরতে না পারায় ওই রুপি জমা দিতে পারেননি। এখন ২৫ হাজারের বেশি রুপি আরবিআইয়ে জমা নিতে না চাওয়ায় ওই রুপি নিয়ে প্রবাসীরা কী করবেন, সেটাই চিন্তা তাদের।

মর্কিন প্রবাসী রিতু দিওয়ানের প্রশ্ন, ‘আমার কাছে কিছু বাতিল নোট আছে এখনও। সরকার কি চায় সেগুলো পুড়িয়ে ফেলি? কারণ আরবিআই তো এগুলো বদলে দিতে চাচ্ছে না।’ আরবিআইয়ের সামনে লম্বা লাইনে দাঁড়ানো প্রবাসী ভারতীয় কিংবা ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের প্রায় প্রত্যেকের মুখে একই কথা। পাশাপাশি নোট বদলানোর কেন্দ্র সীমিত হওয়ায় দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে তাদের। একইসঙ্গে যারা ব্যাংক হিসাবের সব কাগজপত্র নিয়ে আসেননি, নিরাপত্তারক্ষীরা তাদের ঢুকতেই দেয়নি আরবিআইতে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, এতোদিন দেশের সাধারণ মানুষ আরবিআইয়ের নিত্যনতুন নির্দেশনায় যেভাবে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন, এবার পালা শুরু হলো প্রবাসীদের ক্ষেত্রেও।