প্রতিনিধি, বান্দরবান : বান্দরবানে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানের কারণে রুমা, রোয়াংছড়ি এব থানচি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আগামী ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
আজ শনিবার বিকালে দশম দফায় বান্দরবান জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপনে নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা বাড়ানো হয়।
প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্র জানায়, বান্দরবান জেলার রুমা, রোয়াংছড়ি এবং থানচি তিনটি উপজেলার সীমান্তবর্তী পাহাড়ী এলাকাগুলোতে যৌথ বাহিনীর জঙ্গী ও সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান পরিচালিত হচ্ছে আড়াইমাস ধরে। সাঁড়াশি অভিযানের কারণে ভ্রমণকারীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় পর্যটকদের ভ্রমণে রুমা, রোয়াংছড়ি এবং থানচি তিনটি উপজেলায় দেয়া সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দশম দফায় বাড়ানো হয়েছে। এরআগে নবম দফায় রুমা, রোয়াংছড়ি দুটি উপজেলায় ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। কিন্ত প্রত্যাহার করা থানচি উপজেলাকে আবারও যুক্ত করে থানচি, রুমা ও রোয়াংছড়ি ৩টি উপজেলায় নিষেধাজ্ঞা সময়সীমা আগামী ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেন, যৌথ বাহিনীর সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান পরিচালিত হওয়ায় নিরাপত্তা বিবেচনায় থানচি উপজেলা আবারও পর্যটকদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে। রুমা, রোয়াংছড়ি এবং থানচি ৩টি উপজেলায় ভ্রমণে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আগামী ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হলো। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত রুমা, রোয়াংছড়ি এবং থানচি তিনটি উপজেলায় সবধরণের পর্যটকের ভ্রমণ বন্ধ থাকবে।
এদিকে একের পর এক নিষেধাজ্ঞায় পর্যটনের ভরা মৌসুমে পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে গোটা বান্দরবান। জেলায় পর্যটন সংশ্লিষ্ট সবধরনের ব্যবসা বাণিজ্যে ধস নেমেছে। এদিকে নিষেধাজ্ঞার কারণে থানচি উপজেলার তমাতুঙ্গী, নাফাকুম, অমিয়কুম, বড়পাথর, আন্ধারমানিক, রেমাক্রী, বাকলাই ঝর্না, রোয়াংছড়ি উপজেলার দেবতাকুম, শীলবান্ধা ঝর্ণা, শিপ্পি পাহাড়, রুমা উপজেলার রহস্যময় বগা লেক, রাইক্ষ্যংপুকুর লেক, ক্যাওক্রাডং, তাজিংডং, জাদীপাই ঝর্ণা, তিনাপ সাইতার, রিজুক ঝর্ণা’সহ আশপাশের দর্শণীয় স্থানগুলোতে ভ্রমণ করতে পারবে না ভ্রমণকারী পর্যটকেরা।