প্রতিনিধি, বান্দরবান : বান্দরবানে জঙ্গীবাদে পুত্রকে প্ররোচিত করায় মসজিদের ইমাম’সহ ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পিতা। আজ মঙ্গলবার দুপুরে বান্দরবান চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন কুমিল্লা থেকে নিখোঁজ জঙ্গী আল আমিনের পিতা নুরুল ইসলাম।
বান্দরবান সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মো: ইমরান আদালত মামলাটি এজাহার হিসেবে গণ্য করে ৫ দিনের মধ্যে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। অভিযুক্ত আসামীদের মধ্যে যাদের নাম রয়েছে তারা হলেন- কুমিল্লা জেলার মোখলেছুর রহমানের ছেলে আনিসুর রহমান (৩২), শামীন মাহফুজ (৪৭), নারায়ণগঞ্জের আনোয়ার হোসেনের ছেলে মোশারফ হোসেন (৩৪), সিলেটের হাফিজ মাওলানা হোসাইন এর ছেলে আব্দুল্লাহ মায়মুন (৩৪), সিলেটের মৃত আব্দুস ছাত্তারের ছেলে মাসকুর রহমান (৪৪), সুনামগঞ্জের ছৈয়দ আবুল কালাম এর ছেলে সৈয়দ মারুফ আহমেদ মানিক (৩১), আব্দুল কাদের, কুমিল্লার মমতাজ আহম্মেদ এর ছেলে শাহ মোহাম্মদ হাবিুল্লাহ, বান্দরবানের রুমা উপজেলার জাওতন লনচেও এর ছেলে নাথানা লনচেও (৫০), লাল মোহন বিয়াল , কর্ণেল সলোমান (৫০), ভাংচুর লিয়ান (৪৩) ।
আইনজীবি ও মামলার এজাহার সূত্রে জানাযায়, গত ২৫ আগস্ট তাবলিগের কথা বলে বাড়ী থেকে বের হন নিখোঁজ পুত্র আল আমীন। এরপর থেকেই পুত্রের কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছেনা। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে জানতে পারলাম স্থানীয় কুবা মসজিদের ইমাম হাবিবুল্লাহর প্ররোচনায় বিভিন্ন মাধ্যমে জঙ্গীবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রশিক্ষণ নিতে বান্দরবানের রুমা উপজেলার গহীন অরণ্যে আশ্রয় নেয়া যুবকদের মধ্যে ছিলেন পুত্র।
প্রশিক্ষণ নেয়ার সময় অভ্যন্তরিন বিরোধে রুমার গহীন জঙ্গলে মৃত্যুবরণ করেন তার পুত্র। পরে অন্যান্য জঙ্গীরা তাকে পাহাড়ের গহীনে কবর দেয়। খবরটি পেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে কবরের খোঁজ পাওয়া গেলেও ছেলের মরদেহ পাওয়া যায়নি বলে জানান নিখোঁজ জঙ্গীর পিতা। তাই তিনি যারা তার ছেলেকে ভুল বুঝিয়ে এ পথে নিয়ে এসে মৃত্যুকুলে ঠেলে দিয়েছে তাদের সকলকে শাস্তির আওতায় আনতে মামলা দায়ের করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বান্দরবান সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের পেশকার রিনিতা চাকমা বলেন, পুত্রকে জঙ্গীবাদে প্ররোচিত করায় ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পিতা নুরুল ইসলাম। মামলাটি এজাহার হিসেবে গণ্য করে ৫ দিনের মধ্যে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।