প্রতিনিধি, বান্দরবান : বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তে আশ্রয় নেয়া শূণ্যরেখার রোহিঙ্গাদের ট্রানজিট ক্যাম্পে সরিয়ে নেয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজ রোববার সকাল থেকে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে গাড়ীতে করে তাদের সরিয়ে প্রক্রিয়া শুরু হয়।
আইনশৃঙ্খলা বাাহিনী ও জনপ্রতিনিধিরা জানায়, মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নবাদী সশস্ত্র সংগঠন হারাকা আল ইয়াকিন (আরসা) এবং রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও) দু’গ্রুপের সংঘর্ষ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গত ১৮ জানুয়ারী শূন্যরেখার রোহিঙ্গা ক্যাম্পটি পুড়িয়ে দেয়ায় নোম্যান্স ল্যান্ডে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা বান্দরবান জেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু গ্রামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ইউনিয়ন পরিষদের আশ্রয় নেয়। তারমধ্যে শূন্যরেখার পাঁচশত ৫৮ পরিবারের দুই হাজার ৯৭০ জন রোহিঙ্গা রয়েছে। তাদের মধ্যে তিনশ ৭৭ রোহিঙ্গা পরিবারের দুই হাজার ৯৮ জন নিবন্ধিত রোহিঙ্গা। অন্য ১৭৯ পরিবারের ৮৭২ অনিবন্ধতি রোহিঙ্গা রয়েছে। দীর্ঘ ১৮ দিন পর আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ঘুমধুম ট্রানজিট ক্যাম্পে হস্থান্তরের সিদ্ধান্ত নেন স্থানীয় প্রশাসন। সিদ্ধান্ত মোতাবেক রোববার সকাল থেকে সরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু হয়। ট্রানজিট ক্যাম্পটি কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন টিভি টাওয়ারের পাশে অবস্থিত। প্রথম দফায় ৩৫টি রোহিঙ্গা পরিবারের ১৮৪ জন নিবন্ধিত রোহিঙ্গাকে সরানো হচ্ছে। শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের গাড়িতে করে এসব রোহিঙ্গাকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে অন্যক্যাম্পে।
ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, শূন্যরেখার রোহিঙ্গাদের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের কর্মকর্তার উপস্থিতিতে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে ৩৫ পরিবারের ১৮৪ জনকে তার ইউনিয়ন এলাকার পশ্চিমাংশে অবস্থিত কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পূর্বাংশের ট্রানজিট ক্যাম্পে রাখা হবে। নিবন্ধিতদের প্রত্যেককে স্লিপ দেয়া হয়েছে। সেখানে কোন রোহিঙ্গাকে কোন ক্যাম্প বা সেটে পাঠানো হবে তা উল্লেখ করে দেয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের কর্মকর্তা মো: ছামসুদদৌহা বলেন, শূণ্যরেখায় অবস্থান নেয়া রোহিঙ্গারা পালিয়ে তুমব্রু গ্রামে আশ্রয় নিয়েছিল। তাদের কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন টিভি টাওয়ারের পাশ^বর্তী ঘুমধুম ট্রানজিট ক্যাম্পে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। প্রথম দফায় ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের জড়ো হওয়ায় ৩৫ পরিবারের ১৮৪ জন নিবন্ধিত রোহিঙ্গা সরিয়ে নেয়া হবে। পর্যায়ক্রমনে অন্যদের সরিয়ে নেয়া হবে ট্রানজিট ক্যাম্পে।