প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

বারিতে তৈলবীজ গবেষণার মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

প্রতিনিধি, গাজীপুর: বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বারি) গতকাল বারির তৈলবীজ গবেষণা কেন্দ্রের গবেষণা কার্যক্রমের ওপর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। তৈলবীজ গবেষণা কেন্দ্রের আয়োজনে ইনস্টিটিউটের তৈলবীজ গবেষণা মাঠে এ অনুষ্ঠান করা হয়েছে।

‘তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্প (বারি অঙ্গ)’ ও তৈলবীজ গবেষণা কেন্দ্র, বারি, গাজীপুরের অর্থায়নে এ মাঠ দিবসে বারির বিভিন্ন বিভাগ ও কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন।

সকালে বারির মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার মাঠ দিবস অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। বারির পরিচালক (তৈলবীজ গবেষণা কেন্দ্র) ড. মো. আব্দুল লতিফ আকন্দের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক (সেবা ও সরবরাহ) ড. মো. কামরুল হাসান, পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. তারিকুল ইসলাম, পরিচালক (উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র) ড. অপূর্ব কান্তি চৌধুরী এবং বারির সাবেক পরিচালক (পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন) ড. রীনা রানী সাহা ও সরেজমিন গবেষণা বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ সহিদুজ্জামান।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন তৈলবীজ গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রকল্প পরিচালক ড. ফেরদৌসী বেগম।

অনুষ্ঠানে বারির মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার বলেন, চাহিদার তুলনায় আমাদের দেশে ভোজ্যতেল উৎপাদনের পরিমাণ অনেক কম। কারণ দেশে ভোজ্যতেলের আবাদি জমির পরিমাণ খুবই কম এবং বিভিন্ন কারণে প্রতি বছর এ জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে।

ফলে আমাদের প্রতি বছর প্রায় ২০-২২ হাজার কোটি টাকার ভোজ্যতেল আমদানি করতে হচ্ছে। স্বাধীনতার ৫০ বছরে বারির তৈলবীজ গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন ধরনের তৈলবীজ ফসলের ৫০ ধরনের উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবন করেছেন।

আমরা যদি এসব উচ্চফলনশীল জাত কৃষকদের কাছে পৌঁছে দিতে পারি, তাহলে দেশে ভোজ্যতেলের উৎপাদনের পরিমাণ বাড়বে এবং আমদানির পরিমাণ কমে যাবে।

পরে অতিথিরা বারির তৈলবীজ গবেষণা কেন্দ্রের গবেষণা মাঠে বিভিন্ন ধরনের গবেষণা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।