নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি সংসদ বর্জন ও সংসদ থেকে পদত্যাগের মতো ‘অপরাজনীতি’ না করলে গণতন্ত্র সূচকে দেশ আরও কয়েক ধাপ উন্নতি করত বলে মন্তব্য করছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। গতকাল রোববার সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তার এ মন্তব্য আসে।
সেখানে বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, “মির্জা ফখরুল সাহেব ও তাদের জোট নেতারা ‘গণতন্ত্র নেই, গণতন্ত্র হুমকির সম্মুখীন’ বলে প্রতিদিন বক্তৃতা করে বেড়ান। তারা যখন প্রতিদিন এই কথাগুলো বলে বেড়াচ্ছেন, টেলিভিশনের পর্দা গরম করছেন, জনসভায় মানুষকে উত্তেজিত করার চেষ্টা করছেন, দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন, তখনই যুক্তরাজ্যের লন্ডনভিত্তিক ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ) যে গণতন্ত্র সূচক প্রকাশ করেছে, সেখানে বাংলাদেশ দুই ধাপ এগিয়ে ৭৩তম স্থানে উন্নীত হয়েছে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গণতন্ত্রকে দৃঢ় ও সংহত করার দায়িত্ব যেমন সরকারি দলের, তেমনই বিরোধী দলেরও দায়িত্ব, সে বিরোধীদল সংসদে থাকুক কিংবা না থাকুক। বাংলাদেশের গণতন্ত্র আরও সংহত হতো, বাংলাদেশ গণতন্ত্রের সূচকে আরও কয়েক ধাপ উন্নীত হতো, যদি বিএনপির সংসদ বর্জন, সংসদ থেকে পদত্যাগÑএই অপরাজনীতি যদি না থাকত।’
গণতন্ত্র সুসংসত রাখা সব রাজনৈতিকে দলের দায়িত্ব মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের গণতন্ত্র যে ‘সুসংহত’ হয়েছে এবং গণতান্ত্রিক রীতিনীতির চর্চা ‘বিস্তৃত হয়েছে’, ইআইইউ’র রিপোর্ট তারই বহিঃপ্রকাশ।
পাঁচটি মানদণ্ডে একটি দেশের গণতন্ত্র পরিস্থিতি বিচার করে ইআইইউ শুক্রবার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে ২০২২ সালে ১৬৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশকে রাখা হয়েছে ৭৩ নম্বরে; এর আগের বছর বাংলাদেশের অবস্থান ৭৫ নম্বরে ছিল।
ফলে দেশে ‘গণতন্ত্র নেই’ বলে বিএনপি নেতারা যে বক্তব্য দেন, তা ‘মিথ্যা’ প্রমাণিত হয়েছে বলে হাছান মাহমুদের ভাষ্য।